দেশে ফিরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপু মণি জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ তিস্তা চুক্তির বিরোধী নন। পরশুই ঢাকায় ফিরেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। শনিবারে চাঁদপুরে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে দীপু মণি বলেন, রাজ্য সরকারের মনোভাব অত্যন্ত ইতিবাচক। কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি আরও আশাবাদী যে, শীঘ্রই তিস্তা চুক্তি হচ্ছে।
গত সপ্তাহেই বেঙ্গালুরুর একটি অনুষ্ঠান থেকে কলকাতায় গিয়ে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে মমতার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। এর আগে মমতার আপত্তিতেই সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের ঢাকা সফরে দু’দেশের মধ্যে তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। মণি এ দিন বলেন, কথা বলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে মমতা আদৌ চুক্তির বিরোধী নন। তাঁর কথায় যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। মমতা চান, জলের পরিমাণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই চুক্তি হোক। তা না হলে দু’পক্ষই মনে করতে পারে, তারা প্রতারিত হয়েছে।
দীপু মণি জানান, তিস্তা চুক্তি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেই হবে। কিন্তু তিস্তা বইছে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে। তাই সেই রাজ্যের মতামতের
বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সরকারের মনোভাব জানতেই তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বলেছিলেন। দেখেছেন চুক্তির বিষয়ে মমতার মনোভাব যথেষ্ট ইতিবাচক।
দীপু মণি জানান, বিভিন্ন মরসুমে তিস্তায় প্রবাহিত জলের পরিমাণ জানতে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। তাদের রিপোর্ট দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হবে। মণি বলেন, তিনিও মনে করেন, যে কোনও চুক্তির বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকা দরকার। তাই মমতার দাবি যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত। |