ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত। শনিবার ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র বৈঠকে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে যে প্রস্তাব আনা হয়েছে, তাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে একজোট হয়ে ইরানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে জার্মানি এবং ভারতও। ইরানের পরমাণু গবেষণার বাড়বাড়ন্তে ‘উদ্বিগ্ন’ আইএইএ-র প্রস্তাব, তেহরানের উচিত বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসা। একই সঙ্গে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ে ‘গোপনে’ যে গবেষণা চালাচ্ছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতেও বলা হয়েছে। আইএইএ-র বিশেষ বোর্ডের ৩৫টি সদস্য দেশের মধ্যে ৩২টিই এই প্রস্তাবে ইরানের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে এ দিনই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ইরানের বিরুদ্ধে আনা নিন্দাপ্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত। অভিযোগ, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আদেল-আল-জুবেরকে হত্যার চক্রান্ত করেছে ইরানের কোনও সংগঠন। ইরানের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব আনা হবে কি না, তা নিয়ে এ দিন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যে ভোটাভুটি হয়, তাতে নিন্দাপ্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১০৬টি দেশ। বিরুদ্ধে ৯টি দেশ। ভারত-সহ ৯টি দেশ ভোটদানে বিরত থেকেছে। নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি হরদীপ সিংহ পুরী বলেন, “গোটা ব্যাপারটায় যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। তা ছাড়া, এটা একটা বিচারাধীন বিষয়। সে জন্যই আমরা বিরত থেকেছি।”
|
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী জোহানেসবার্গের যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেটি সংগ্রশালা হিসেবে জনসাধারণের জন্য খুলে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। দর্শকরা ওই বাড়িতে থাকতেও পারবেন। দু’বছর আগে মালিকের কাছ থেকে বাড়িটি কিনে নেয় একটি ফরাসি পর্যটন সংস্থা। এর পর স্থানীয় ইতিহাসবিদদের সাহায্যে বাড়িটির আমূল পরিবর্তন ঘটানো হয়। ১৯০৬ থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত গাঁধী এখানে ভাড়া ছিলেন। বর্তমানে ‘সত্যাগ্রহ হাউস’ নামে পরিচিত ওই বাড়িটির সংগ্রশালায় গাঁধীর ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র, বই এমনকী যে মাদুরে তিনি শুতেন তা-ও দর্শকরা দেখার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ জেন ফ্র্যাঙ্কো রায়াল। বর্ণবৈষম্য এবং জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে গাঁধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলন সম্পর্কে আগ্রহী দর্শকরা এই সংগ্রহশালা থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন। রায়ালের আশা, দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ ছাড়াও অনেক বিদেশি পর্যটকও মহাত্মা গাঁধীর ইতিহাস জানতে এই সংগ্রহশালায় আসবেন।
|
পাকিস্তানে সেনা অভ্যুত্থান রুখতে মার্কিন প্রশাসনকে ‘অনুরোধ’ করে একটি গোপন স্মারকলিপি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আমেরিকার পাক রাষ্ট্রদূত হুসেন হক্কানির বিরুদ্ধে। তাঁকে ইসলামাবাদে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আজ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক জানান, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত যা তথ্যপ্রমাণ তাঁরা পেয়েছেন, তাতে মনে হয় কোনও স্মারকলিপি হক্কানি দেননি। তবে, স্মারকলিপি বিতর্কে মনসুর ইজাজ নামে যে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যবসায়ীর নাম জড়িয়েছে, তাঁর সঙ্গে হক্কানির বেশ কিছু এসএমএস চালাচালি হয়েছে বলে জানান মালিক। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। এ বিষয়ে এক তরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। হক্কানিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে।” |