সরকারি মূল্যে ধান কেনা নিয়ে সমস্যা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর ও মুরারই |
সরকার নির্ধারিত ধানের মূল্য বৃদ্ধি করা-সহ নানা দাবিতে শুক্রবার বোলপুরের ব্লকের শ্রীনিকেতনে পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে ঘিরে ক্ষোভ দেখালেন কৃষকেরা। তাঁদের দাবি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। পূর্ব নির্ধারিত সময় সূচি অনুযায়ী এ দিন সকালে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়। |
|
নানুর ব্লকে চলছে সরকারি মূল্যে ধান কেনা। ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
পশ্চিমবঙ্গ কৃষিজীবী সঙ্ঘের সভাপতি প্রবীর রায়ের অভিযোগ, “গ্রাম থেকে ব্লকের আসতে কৃষকদের খরচ হচ্ছে। অথচ মিল মালিকেরা কখনও কুইন্টাল পিছু ১২ কখনও ১৫ কেজি করে ধান বাদ দেওয়ার কথা বলছেন।” অন্য দিকে, এ দিন সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষদের কাছ থেকে ধান কেনার ক্ষেত্রে পুরনো ধান কেনার দাবি জানাল মুরারই পঞ্চায়েতের চাষিদের একাংশ। সকালে গুসকিরা গ্রামে ধান কেনা শুরু হলে পুরনো ধান কেনার জন্য দাবি জানান চাষিরা। কিন্তু চাল কল মালিকেরা তাতে রাজি হননি। ফলে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। পরে বিডিও কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে নতুন ধান কেনা শুরু হয়। বিডিও বলেন, “সরকারি নির্দেশ মতো নতুন ধান কেনা হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত ১৪ কুইন্টাল ধান কেনা হয়েছে।” |
|
বোলপুরে পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে ঘিরে ক্ষোভ কৃষিজীবী সঙ্ঘের। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
এ ছাড়া, জেলার নানুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় ধান কেনা শুরু হয়েছে। এ দিনই জেলা ধান ব্যবাসায়ী সমিতির সভাপতি নারায়ণচন্দ্র ঘোষ দাবি করেন, “সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান কেনার ব্যবস্থা করে দিতে হবে সরকারকে। শুধু তাই নয় মিল মালিককে যাতে আমরা ধান বিক্রি করতে পারি তারও ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।’’ |
|