|
|
|
|
ঘাটের ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ খয়রাশোলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খয়রাশোল |
অজয় নদের একদিকে বর্ধমান। অন্য দিকে বীরভূম। বীরভূম থেকে বর্ধমানে যাতায়াতের জন্য একাধিক পাকা সেতু আছে। বর্ষার মাস চারেক বাদ দিয়ে বর্ধমান থেকে বীরভূমে যাতায়াতের ন্য একাধিক জায়গায় নদী পারাপারের জন্য সেতু তৈরি হয়। যেটাকে ঘাট বলা হয়। খয়রাশোলের কাঁকরতলা থানার অন্তর্গত এরকম একাধিক ঘাটের মধ্যে পশ্চিম বড়কোলা ঘাটও রয়েছে। প্রত্যেকটি অস্থায়ী ঘাটের ক্ষেত্রে হয় পঞ্চায়েত সমিতি বা স্থানীয় পঞ্চায়েত দরপত্র ডেকে এক জনকে ঠিকা দেয়। মাস দু’য়েক আগে পশ্চিম বড়কোলা ঘাটের জন্য তিন বছরে তিন লক্ষ পাঁচ হাজার টাকার চুক্তিতে খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতি গোলাম সাব্বির কাদেরী নামে এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়। কিন্তু এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ ও তৃণমূলের পক্ষ থেকে খয়রাশোলের বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, অজয় পারাপার করার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির নির্ধারিত টাকার থেকে বেশি নিচ্ছেন ওই ঠিকা পাওয়া ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনে প্রায় ১০০টি সাইকেল, মোটরবাইক, গরুরগাড়ি ও চার চাকার গাড়ি পশ্চিম বড়কোলা ঘাটে ওই রাস্তা দিয়ে বর্ধমানের চুরুলিয়ায় কাছাকাছি পৌঁছয়। পারাপারের জন্য কোনও টাকা নির্ধারিত হওয়ার কথা নয়। দরপত্রের টাকা মিটিয়ে এবং অজয়ের মধ্যে অস্থায়ী রাস্তা বানিয়ে মানুষকে পারাপারের সুবিধা করে দেন ঘাটের ঠিকা পাওয়া ব্যক্তি। এই ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিয়ে পারাপার করার কথা। অভিযোগ, ওই নির্দিষ্ট অঙ্কের থেকে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ঘাটের ঠিকা পাওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে। খয়রাশোলের যুগ্ম বিডিও সম্বল ঝা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও সাব্বির কাদেরী বলেন, “নির্দিষ্ট ঘর না থাকায় রেট বোর্ড টাঙানো যায়নি। তবে টিনের পাতের উপরে লেখা রেট বোর্ড প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীঘাটে রাখা হয়।” তাঁর দাবি, “গত ১৭ বছর ধরে একই মূল্য নেওয়া হয় অজয় পারাার বাসিন্দাদের কাছ থেকে। আর বড়কোলা গ্রামের বাসন্দাদের কাছ থেকে তো টাকা নেওয়া হয় না। আার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন।” |
|
|
|
|
|