ছোটবেলার কোনও ঘটনা?

অন্তরা: দির্ দির্ দা’ গানের রেকর্ডিংয়ের পরে বাবা আমায় কোলে তুলে নিয়ে বলেছিল খুব ভাল হয়েছে। তার পর থেকে প্রত্যেক রেকর্ডিংয়ের পরে আমাকে কোলে তুলতেই হত যত দিন না আমি বড় হলাম।

আপনাকে শ্রোতারা শিশুশিল্পী হিসেবেই মনে রাখবে?
অন্তরা: আশা করি শ্রোতারা শিশুশিল্পী হিসেবে নিশ্চয়ই মনে রাখবেন। কারণ, ওই সব গান তো আর হবে না। ছোটদের জন্যে ‘বুলবুল পাখি’, ‘ও মাগো মা অন্য কিছু গল্প বলো’ বা ‘ব্যাঙেদের গান শেখা’ এই রকম গান বাঁধার কোনও সুরকার বা গীতিকার আজ নেই। তাই মানুষ এখনও ওই সব গান শোনেন বা নিজের বাচ্চাদের শোনান। এই জন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করি যে, ওই সব গান গাইবার সুযোগ পেয়েছিলাম। এবং তা সম্ভব হয়েছিল বাবা সলিল চৌধুরীর জন্য। পাশাপাশি আজ যখন সেমি ক্ল্যাসিকাল ‘এমনও সঘন’ বা হিন্দি ছবি ‘খোয়া খোয়া চাঁদ’-এর ‘ইয়ে নিগাহে’ গাই, তখন শ্রোতারা সেটাও তো গ্রহণ করেছেন।

পড়াশোনা কোথায়?
অন্তরা: পড়াশোনার কিছুটা গোখেল মেমোরিয়াল স্কুল আর কিছুটা মুম্বইয়ের ভিলা টেরেসা স্কুলে। আমাকে বাংলা শেখাবার জন্য মা-বাবা হস্টেলে রেখেছিলেন। সেই জন্য আমি ছোটবেলায় বাংলায় গান গাইতে পেরেছিলাম। পরে আমি গোখেল মেমোরিয়াল কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করি।

বিখ্যাত বাবা-মায়ের মেয়ে হওয়ায় সুবিধা ও অসুবিধা?
অন্তরা: শেখার তো কোনও শেষ নেই, তাই এখনও আমার গুরুজি শুভা যোশির কাছে ঠুংরি আর গজল শিখছি। অনেকে আমাকে বাবা-মায়ের সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁদের বলি, আমি কোনও দিন ওঁদের মতো হতে পারব না। তাই আমি নিজের স্টাইলে গান করার চেষ্টা করি। আমি বাবা-মায়ের জন্য খুবই গর্বিত।


রিহার্সালে অন্তরা। ছবি: অরণ্য সেন।
মায়ের সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছেন?
অন্তরা: হ্যাঁ, আমার ছোটবেলার পপুলার গান ‘খুকুমণি গো সোনা’, ‘নাও গান ভরে ’, আর ‘একটু চুপ করে শোনো’ মায়ের সঙ্গে গেয়েছি।

মা সবিতা চৌধুরীর সঙ্গে গানের জগতে কতখানি রেষারেষি?
অন্তরা: রেষারেষির কোনও প্রশ্নই নেই, কারণ আমি মায়ের মতো কোনও দিন গাইতে পারব না। ওই রকম আর্টিস্ট খুব রেয়ার। আমরা আজকাল টেকনোলজি ব্যবহার করে শর্টকাট মারি। মা আমাকে ছোট থেকে গান শিখিয়েছেন। মা আমার সঙ্গীতগুরু।

শ্রেয়া ঘোষাল, কৌশিকী দেশিকানের মতো অন্তরাকে শ্রোতারা সেই ভাবে পাচ্ছেন না কেন?
অন্তরা: আমি কারও মতো হতে চাই না। নিজে সাধনা করে যাচ্ছি। যা হওয়ার তাই হবে। মানুষের ভালবাসাই আমার পুরস্কার।

অনেকের ধারণা অন্তরা হারিয়ে গিয়েছে। সত্যি?
অন্তরা: যাঁরা সত্যি আমার গান শুনেছেন, তাঁরা জানেন যে আমার গান এখন অনেক পরিণত হয়েছে। ২০০৭-এ পুজোয় আমি রবীন্দ্র জৈন-এর সুরে গান গেয়েছি। আসলে দেশের থেকে বিদেশে আমার অনুষ্ঠান থাকে বেশি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে অনুষ্ঠান করে ফিরেছি। এ বছর পুজোয় দিল্লিতে ছ’টা অনুষ্ঠান করেছি। আমেরিকায় তো ছ’বার অনুষ্ঠান করা হয়ে গিয়েছে।

চলচ্চিত্রে গাইছেন?
অন্তরা: ‘মনের মানুষ’-এ গৌতম ঘোষের সুরে ‘সপ্ততালা ভেদ করিলে’ আর অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘অন্তহীন’-এ শ্রীকান্ত আচার্যের সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছি।

নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে কী কাজ করলেন?
অন্তরা: সম্প্রতি আমার একটি মালয়ালম অ্যালবাম ‘রজনীগন্ধী’ রিলিজ করেছে। এটা আমার ক্ষেত্রে একবারে নতুন অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ ছিল।

বিদেশে গাইতে গিয়ে বাবা সলিল চৌধুরীর কন্যা হিসেবে সমাদর পেয়েছেন না নিজের গায়কী দিয়ে মন জয় করেছেন?

অন্তরা: বাবার গানে এক বিশেষ ধরনের গায়ন-শৈলী আছে। সেই গায়কী না আনতে পারলে বাবার গান গাওয়া খুব সহজ নয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যা রেসপন্স পেয়েছি, তাতে মনে হয় মানুষের মন জয় করতে পেরেছি।

কোন সুরকার ও গীতিকার পছন্দ?
অন্তরা: এখনকার বাংলা সুরকারদের মধ্যে চিরদীপ আর জয়ের কম্পোজিশন খুব ভাল লাগে। দাদা সঞ্জয়ের কাজও ভাল লাগে।


শিশু দিবসের এক অনুষ্ঠানে।
ছবি: প্রদীপ আদক।
আপনি কি প্রেম করে বিয়ে করেছেন?
অন্তরা: নিশ্চয়ই। আমার স্বামী তীর্থঙ্করকে দশ বছরের বেশি চিনি। আমরা খুব ভাল বন্ধু ছিলাম আর সেটাই একদিন ভালবাসায় বদলে যায়। এখন আমরা খুব ভাল বন্ধু।

ভূতে ভয় আছে?
অন্তরা: ছোটবেলায় ছিল, যখন হস্টেলে ছিলাম। এখন আর নেই। এখন টেররিস্টদের ভয় পাই।

জ্যোতিষ বিশ্বাস করেন?
অন্তরা: না। ও সব আংটি পরে কিছু হয় না।

তবে কীসে বিশ্বাস করেন?
অন্তরা: আমি বিশ্বাস করি নিষ্ঠা আর একাগ্রতায়। এই দুটোই আমার শক্তি। কী পেলাম বা পেলাম না, তা নিয়ে ভাবি না।
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
নতুন সমীক্ষা বলছে, বড় রিটেল এলে নাকি খুচরো ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয় না। আসলে আমাদের দেশে খুচরো মানুষের সংখ্যা এত বেশি যে তারা আর ওই বড় রিটেলে পৌঁছতে পারছে না।
অনিন্দ্য। পুং/২৮/নয়ডা

স্বাস্থ্য উদ্ধারে অনেক সময় ডাক্তাররা ‘চেঞ্জ’-এ যাওয়ার পরামর্শ দেন। তেমনই রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মসংস্কৃতি উদ্ধারে রুগ্ণ মহাকরণকে জেলায় ঘোরার নির্দেশ ‘ডাক্তার’ মুখ্যমন্ত্রীর!
রতন দত্ত। বাঘাযতীন

কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ানোয় নীচের স্তরের তৃণমূল সাংসদরা গরম হয়ে সরকার থেকে সমর্থন তুলতে চাইলেন, কিন্তু ওপর থেকে ফুঁ দিয়ে তাঁদের ঠান্ডা করা হল! এ যেন খানিকটা ‘রাবড়ি’ পলিটিক্স!
অতীশ মণ্ডল। ডায়মন্ড হারবার

ওপরে কংগ্রেস ভিতরে সিপিএম নেতাদের তরমুজ বলা হত। কারণ, তাঁদের বাইরেটা সবুজ ভেতরটা লাল। প্রশ্ন হল, রেজ্জাক মোল্লার সঙ্গে কোন ফলের তুলনা করা হবে?
সুদর্শন নন্দী। মেদিনীপুর

কিংফিশার সহ অন্যান্য বিমানের ‘পরিষেবা’ যখন দেশের সমস্যা, অন্য দিকে তখন বিমানের ‘পরিভাষা’ আলিমুদ্দিনের সমস্যা!
মণিদীপা। তেঘড়িয়া

ব্রিটিশরা নাকি ভারতীয়দের চা খাওয়া শেখাতে প্রথম প্রথম চায়ের সঙ্গে বিনা পয়সায় বিস্কুট দিতেন। ইডেনে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিন ফাঁকা গ্যালারির দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে সিএবি’কে টেস্ট ম্যাচে গ্যালারি ভরাতে সে রকমই কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে!
অতীশচন্দ্র ভাওয়াল। কোন্নগর

রোগী: ডাক্তারবাবু হাঁচি-কাশি আর মাওবাদী সন্ত্রাসের মধ্যে মিল আছে বলছেন কেন?
ডাক্তার: দেখছেন না, দুটোই তো ওষুধ খেলে সাত দিনে সারে আর না খেলে এক সপ্তাহে!

ডা. যম। রামরাজাতলা

পুরুষ১: যাক বাবা, ঐশ্বর্যার মেয়ে হল।
পুরুষ২: তাতে তোর কী? তুই কি মেয়ে হবে বলে বাজি ধরে ছিলি নাকি?
পুরুষ১: তা নয়, তবে ঐশ্বর্যার মুখে গোঁফ লাগালে মানতে পারতাম না!

অ্যান্টি-অভিষেক। ঝুমরিতলাইয়া

সচিনের সেঞ্চুরি ভাগ্য যেন রাহু(ল)-এর গ্রাসে!
কাজী পারভেজ। হরিণঘাটা

পেট্রোলের ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে সচিনের আগেই দামের সেঞ্চুরি করবে বলে উঠেপড়ে লেগেছে। একটা দুই ‘শর্ট রান’ ঘোষণা হলেও, আটকানো মুশকিল!
অভিষেক দুবে। আদ্রা
ষাটের দশকের গোড়ার দিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী কৈলাশ পাতিলের সঙ্গে গিয়েছিলাম ওঁর টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। দুরুদুরু বক্ষে, কারণ শুনেছিলাম উনি নাকি খুব মেজাজি লোক। কিন্তু দেখলাম, কথাটা একেবারেই ঠিক নয়। খুব অল্প সময়েই উনি খুব অমায়িক, খোলামেলা ব্যবহার করে আমাকে আপন করে নিয়েছিলেন। অসম বয়সি বলে দূরে সরিয়ে রাখেননি।
এর প্রায় দীর্ঘ ৩০ বছর পরে আবার ওঁর সঙ্গে দেখা হল বইমেলায়। সে বছর ওঁর ‘আমি এক যাযাবর’ বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। তখনকার ময়দান বইমেলার এক স্টলে প্রায় প্রত্যেক দিন সন্ধ্যাতেই জমাট আড্ডার আসর বসত। সেখানেই এক দিন ওঁর সঙ্গে আবার আলাপ জমে

উঠল। তখন ভূপেন হাজারিকা এক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী। কিন্তু তার জন্য ওঁর সহজ সরল ব্যবহারের কোনও পরিবর্তন হয়নি। বইমেলা থেকে বেরিয়ে ওঁর সঙ্গে গেলাম নিউ ক্যাথে রেস্তোরাঁয়। সেখানে বেশ ভাল ভাবেই পানভোজন হল। রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়েই উনি বললেন, ‘চলেন, আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দিই।’ রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে বাড়ির সামনে যখন ট্যাক্সি দাঁড়াল, তখন আমিই সাহস করে বলে ফেললাম, এক বারটি আমার ঘরে যাবেন না? উনিও সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে সোজা উঠে এলেন আমার তিন তলার ফ্ল্যাটে। আমার স্ত্রী শিখা তো প্রথমে ভেবেছিল, ও বোধ হয় স্বপ্ন দেখছে। যা-ই হোক, শিখা ও আমার বালকপুত্র দিব্যর সঙ্গে খুব অল্পক্ষণের মধ্যেই ওঁর দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। শিখা কী সব মুখরোচক ভাজাভুজি আর পকৌড়া তৈরি করেছিল, সেগুলিও খুবই তৃপ্তি ভরে খেলেন। যাওয়ার আগে শিখাকে বলে গেলেন, এর পরের দিন এসে কিন্তু এখানে কুচো মাছের ঝাল খেয়ে যাব। আর ওঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। কুচো মাছের ঝোলও খাওয়ানো হয়নি।
এ শহরে থাকে নাকি এ খেলার দর্শক ছাঁকা।
গ্যালারিটা কেন তবে ফাঁকা?
আনহোনিকে করে তোলে হোনি, ধোনি।
ব্যাট হাতে আলাপে নিবিড়, দ্রাবিড়।
ওঃ ইঃ বোলারকে করে ভক্ষণ, লক্ষ্মণ।
ঘুঁটে মালা নাও আর শেম, ক্রিকেটের প্রতি ভুয়ো প্রেম

সন্দীপন নন্দী, বালুরঘাট
ক্ষমা চাইছি
নকশাল আন্দোলনের ঢেউ সারা রাজ্যে আছড়ে পড়েছে। বিষ্ণুপুরও (বাঁকুড়া) উত্তাল। তখন আমি অষ্টম শ্রেণিতে। বেশ কিছু অচেনা অজানা দাদা বিভিন্ন ক্লাসে কিছু দুষ্টু ছাত্রের সন্ধানে ঘুরছে। তারা কয়েক জন জোগাড় করল। আমিও অন্তর্ভুক্ত হলাম। আমাদের বোঝাল, এ সব শিক্ষাদীক্ষাই সর্বনাশ করবে। স্কুলটুল সব ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। এক দিনের ট্রেনিং হল দরজা, জানলা, বেঞ্চ, চেয়ার ভাঙার। সঙ্গীকে নিয়ে আমি দিন দুইয়ের মধ্যে সব জানলা ভেঙে দিলাম। উঁচু ক্লাসের ছাত্রদের সঙ্গে ভাঙা হল চেয়ার, ডেস্ক। এ বার নির্দেশ এল পরীক্ষার সময় ক্লাসে শিক্ষক এলে তাঁকে অপমান করে বের করে দিতে হবে। নির্দেশমতো কাজ। শিক্ষকের চেয়ারের উপর ফ্যান ছিল। সেগুলিকে পদ্মফুলের মতো দুমড়ানো হল। রাখা হল গোবর আর বালি। শিক্ষক মশায় শ্রেণিতে ঢুকতেই চালানো হল ফ্যান। এর পর কী হল লজ্জায় লিখতে ইচ্ছে করছে না। সে লজ্জা আজও যায়নি।

সুদর্শন নন্দী, মেদিনীপুর

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.