|
|
|
|
|
|
|
আড়াল থেকে ডাকব কু-উ-উ, কু-উ-উ |
এ বারের প্রতিযোগিতা ছিল, শীত তাড়িয়ে বসন্ত আনা। জিনিয়াসরা অদ্ভুত
অদ্ভুত আইডিয়ার ব্যাট দিয়ে শীতবুড়িকে পাঠিয়ে দিয়েছে তার আপন দেশে। |
তাপে তপ্ত শীত |
উঃ কী কনকনে শীত! আর যাচ্ছেই না। সবাই কনকনে ঠান্ডায় চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছে। আমি শীতকে বললাম, ‘দাঁড়া, তোর ব্যবস্থা হচ্ছে।’ আর তখনই আমি আমাদের রাজ্যে যত নদী আছে সব নদীর পাড় থেকে বালি এনে সব জায়গায় ছড়িয়ে দিলাম। তার পরে বীর হনুমানকে ডাকলাম। ও তো সূর্যটাকে এনে দিল। তার তাপে বালি এমন উত্তপ্ত হল, কী বলব! শীতবুড়ি তো ভেবে বসল, এ বুঝি মরুভূমি! ভয়ে গেল পালিয়ে। কিন্তু বসন্তকে তো আনতে হবে, তাই বালিগুলোকে ট্রাকে করে আবার নদীকে ফিরিয়ে দিয়ে এলাম। নদীও খুশি হল, বসন্তও চলে এল ফুল ফোটাতে, কোকিলের ডাক শোনাতে।
অনসূয়া রায়। তৃতীয় শ্রেণি, কিশলয় স্কুল, বোলপুর
|
বাঁটুলদার ফুঁ |
একগুঁয়ে শীতকালকে তাড়ানো আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমি সাহায্য চাইব নারায়ণ দাদুর (নারায়ণ দেবনাথ) বাঁটুল-এর। বাঁটুলদার এক ফুঁয়ে বেয়াড়া শীতকাল বাপ বাপ বলে নিশ্চয়ই পালাবে।
দেবস্মিতা দত্ত। সপ্তম শ্রেণি, জুলিয়ন ডে স্কুল
|
চুম্বক দিয়ে বসন্ত |
|
অলঙ্করণ: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য |
গভীর রাতে জানলায় বসে দেখতে পেয়েছিলাম একটি ফ্লাইং সসার। ওটি দেখতে এত সুন্দর যে, আমি বাগানে বেরিয়ে এসেছিলাম সেটিকে দেখতে। সেখানে আশ্চর্য ক’টি ‘এলিয়ান’-এর সঙ্গে দেখা হয়েছিল এবং তাদের সঙ্গে কথা বলে খুব বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। এখন ভাবছি তাদেরই সাহায্য নিয়ে এই যাতনাদায়ক শীতকে দূর করব। তারা শনিগ্রহে থাকে এবং তাদের গ্রহেই সেই চুম্বক থাকে, যার দ্বারা গ্রহেরা দূরত্ব বজায় রাখে। তাদের বলব, ওই চুম্বকের দ্বারা পৃথিবীকে সূর্যের দিকে আর একটু এগিয়ে দিতে, এমন ভাবে যাতে পৃথিবী খুব গরমও না হয়ে যায় ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে সূর্যের তাপে শীত চলে যাবে ও বসন্ত আসবে। সবুজে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে এ পৃথিবী।
আয়ুষী দাস। ষষ্ঠ শ্রেণি, সেন্ট জনস ডায়োসেশন গার্লস এইচ এস স্কুল
|
কোকিলের কূজন |
আমি শীত তাড়িয়ে বসন্ত আনতে শীতলা দেবীর কাছে বর চাইব ঝাঁটা এবং বেশ কিছু কোকিল। আর নিজে কিনব হিটার। ঝাঁটা দিয়ে ঝাড়ু দিয়ে শীত তাড়িয়ে, হিটার দিয়ে আবহাওয়া উত্তপ্ত করব এবং কোকিলদের গাছে বসিয়ে দেব। ব্যস, এত ঝাঁটার বাড়ি, তার সঙ্গে কোকিলের কান ফাটানো কূজনের চোটে শীত পালিয়ে বসন্ত এসে যাবে।
নয়নিকা দে। অষ্টম শ্রেণি, বারাসাত উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
|
পথ ভোলা শীত |
আমি শীতকে বলব, এসো, তোমাকে একটা জায়গায় নিয়ে যাব। এই বলে শীতকে দূরে দক্ষিণ মেরুতে নিয়ে যাব। সেই জায়গাটা শীতের খুব পছন্দ হবে নিশ্চয়। মেরুভল্লুক, সীলমাছ, বল্গা হরিণ এদের সঙ্গে শীতের খুব বন্ধুত্ব হবে। যখন ওরা খেলায় মেতে যাবে, তখন আমি সুড়ুৎ করে ওখান থেকে পালিয়ে যাব। শীত তখন বুঝতেই পারবে না আমি কোন রাস্তা ধরে গেলাম; ও তো রাস্তা চেনেই না। তার পর আমি গ্রিস দেশ থেকে বসন্তকে ডেকে ভারতে নিয়ে আসব। তখন আমরা সবাই ভারতের লোকেরা শীতের হাত থেকে বেঁচে যাব।
রূপসা উপাধ্যায়। প্রথম শ্রেণি, হিন্দমোটর হাই স্কুল, হুগলি
|
দিগন্তে ফুলের আগুন |
হাড়-কাঁপানো ঠান্ডায় লেপের তলায় শুয়ে অস্কার ওয়াইল্ডের বইটা খুলে একমনে ডাকব হিংসুটে দৈত্যের বাগানের সেই দেবশিশুকে। সে হাজির হলেই আশপাশের সব ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে রাখা টবগুলো হেসে উঠবে রং-বেরঙের মরশুমি ফুলে। গজিয়ে উঠবে নতুন কচি পাতা। আমের ডালে আসবে নতুন বকুল। কৃষ্ণচূড়ার ডালে লাগবে লালের ছটা। ঘরের দেওয়ালে করে দেব আসমানি নীল রং, আঁকব পাল তোলা নৌকো, আর এক আকাশ রোদ্দুর। আশেপাশের সব বাড়ির দেওয়ালে বন্ধুরা মিলে আঁকব মস্ত মস্ত রামধনু, প্রজাপতি আর ফুল-ঘাসের ছবি। সিডিতে বাজিয়ে দেব নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগল...। এর পরেও যদি পাড়ার রাগী জেঠু মাফলার, মাঙ্কি টুপি পরে ডগিকে নিয়ে বেরোয়, তা হলে নিজেই জানলার পর্দার আড়ালে লুকিয়ে ডাকব কু-উ-উ-উ। ব্যস, বসন্ত এসে দরজায় কড়া নাড়ল বলে...।
প্রিয়ম চক্রবর্তী। চতুর্থ শ্রেণি, পাঠভবন
|
জিনিয়াস জিন্দাবাদ |
যা! আর একটা বছর দেখতে দেখতে ফুরিয়ে এল। মজা, হুল্লোড়, পাস, ফেল সব
নিয়েই তো কেটেছে বছরটা, নিশ্চয়ই। তোমরা এই বেলায় এক কাজ করো, একটু মগজটা
ঝালিয়ে নাও। তার পর
বেছে ফেলো এ বছরের সেরা মুহূর্ত, তোমাদের চোখে।
একটা
কাগজ
টেনে সেই ছবিটা আঁকো, আর সাঁ করে পাঠিয়ে দাও ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে।
তবে খেয়াল রেখো, ঘটনাটা যেন খুব দুঃখের না হয়।
খামের উপর লেখো ডিসেম্বরের জিনিয়াস জিন্দাবাদ,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|
|