‘রেডিওলজিস্ট’-এর অভাবে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের এক্সরে ও আলট্রাসোনোগ্রাফি বিভাগ বন্ধ। গোটা হাসপাতালে রেডিওলজিস্ট মাত্র এক জন। তিনিও সোমবার থেকে ছুটিতে। তারপর চার দিন কেটে গেলেও বিকল্প ব্যবস্থা করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছুটিতে হাসপাতাল সুপারও। হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে এক্সরে, আলট্রাসোনোগ্রাফি পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। বুধবার সকালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা বিক্ষোভ দেখান। অসুস্থ রোগীদের শয্যা থেকে নামিয়ে রিকশা করে বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে এক্স-রে করাতে বাধ্য হন আত্মীয়রা। বাইরে এক্স-রে করানোর সঙ্গতি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। চিকিৎসকদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, “পাশেই গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ২ জন রেডিওলজিস্ট আছেন। তাদের একজনকে এনে কেন অবস্থা সামাল দেওয়া হচ্ছে না?” চিকিৎসকদের অভিযোগ, এই সমস্যা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত মণ্ডলকে জানানো হলেও জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের তরফে সমস্যা সমাধানে কোনও হেলদোল নেই। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “এমন হওয়ার কথা নয়। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব।” সবচেয়ে সমস্যা পড়েছেন গর্ভবতীরা। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জানান, হাসপাতালে গড়ে রোজ ২৫ থেকে ৩০ জন গর্ভবতীর সোনোগ্রাফি হয়। তাঁদের সমস্যা ও শিশুর পজিশন নির্ধারণের ব্যবস্থা গত ৪ দিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ায় চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে। অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসা বিভাগের বিশেষজ্ঞরাও এক্স-রে’র অভাবে সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারছেন না। চিকিৎসকদের অভিযোগ, “হাসপাতাল সুপারও ছুটি নিয়ে চলে গিয়েছেন। তাঁকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি।” দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত মণ্ডল বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। গঙ্গারামপুরের একজন রেডিওলজিস্টকে বালুরঘাটে কাজে যোগ দিতে অর্ডার করা হবে।” জেলা স্বাস্থ্য কমিটির চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাগদালিনা মুর্মু বলেন, “কেন বিকল্প ব্যবস্থা করতে এত গড়িমসি, তা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে জানতে চাইব।” |