স্বাস্থ্য প্রকল্পে অনিশ্চয়তা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রকল্পের বিমা কার্ড দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিখরচায় চিকিৎসা পেতে পারেন বিপিএল পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু জেলার মধ্যে জলপাইগুড়ি শহরে দু’টি, বীরপাড়া ও ফালাকাটায় একটি করে মাত্র চারটি কেন্দ্রে এই সুবিধা পাওয়া যায়। তার মধ্যে জলপাইগুড়ি শহরের একটি কেন্দ্রে কেবল চোখের চিকিৎসা হয়। তাই যথেষ্ট কেন্দ্রের অভাবে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মালবাজার মহকুমা, ধুপগুড়ি, বেরুবাড়ি, সহ জেলার প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসন আরও বেশি সংখ্যক চিকিৎসা কেন্দ্রকে প্রকল্পে আওতাভুক্ত করার উদ্যোগী হলেও তারা প্রকল্পে সামিল হতে চাইছেন না বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিমার এই প্রকল্পে, একটি বিপিএল পরিবারকে বিমা কার্ড দেওয়া হয়। কার্ড দেখিয়ে পরিবারের সদস্যরা ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত্য নিখরচায় পরিষেবা পেতে পারেন। খরচের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে প্রতি কার্ড পিছু বিমার প্রিমিয়াম জমা দেওয়া হয়। সেই বিমা থেকেই রোগীর খরচ বহন করা হয়। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র অর্থাৎ নার্সিংহোমে এই সুযোগ পাওয়া যায়। অথচ নার্সিংহোমগুলিকে প্রকল্পের আওতায় আসতে ‘বাধ্য’ করার কোনও উপায় প্রশাসনের নেই। ফলে জলপাইগুড়িতে প্রকল্পটি নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রশাসনের তরফে জেলার সব নার্সিংহোমগুলির কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হলেও অনেকেই গরহাজির ছিলেন। এর পরে জেলা প্রশাসনের তরফে একটি ‘কড়া’ নির্দেশ জারি করা হয়। তাতেও কোনও ফল হয়নি। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেলা পরিষদ) উৎপল বিশ্বাস বলেন, “আমরা বারবার চেষ্টা করছি যাতে বেশি সংখ্যক নার্সিংহোমগুলিকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা যায়। জেলার সব এলাকায় চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। বেশি সংখ্যক বাসিন্দার কাছে এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা বারবার বৈঠক ডেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।” জেলার বাইরে শিলিগুড়ি ও কোচবিহারের কয়েকটি নার্সিংহোমেও চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র বাসিন্দাদের পক্ষে শিলিগুড়ি কিংবা কোচবিহারে যাতায়াত করার খরচ জোগাড় করাই সম্ভব হয় না বলে জানান বাসিন্দারা। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, “একজন ময়নাগুড়ি বা সীমান্তবর্তী বেরুবাড়ির দরিদ্র বাসিন্দার পক্ষে শিলিগুড়ি কিংবা জলপাইগুড়িতে রোগী নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। মালবাজার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকাতে এই প্রকল্পের চিকিৎসার কোনও সুযোগই নেই। সরকারি হাসপাতাল কিংবা আরও বেশি সংখ্যক বেসরকারি নার্সিংহোমকে প্রকল্পের আওতায় না আনলে সমস্যার সমাধান হবে না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.