রাজ্যে সমস্ত হাসপাতালের শিশু বিভাগের উন্নতি ঘটাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ উদ্যোগী হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার শিলিগুড়ির সার্কিট হাউজে দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ওই কথা জানান তিনি বলেন। তিনি বলেন, “৩৪ বছর ধরে রাজ্যে বাম শাসন ছিল। ওই দীর্ঘ সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়নি। ফলে চিকিৎসা কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেই অবস্থার উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে শিশু মৃত্যু নিয়ে হইচই হচ্ছে। বর্তমানে সেরকম বিপজ্জনক পরিস্থিতি নেই। হাসপাতালগুলির শিশু বিভাগের উন্নতি ঘটাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি সাহায্যের আশ্বাস করেছেন।” |
শিলিগুড়ি হাসপাতাল পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র। |
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে ‘অসংক্রমণ যোগ্য রোগ’ ঠেকাতে দার্জিলিং জেলায় কাজ শুরুর নির্দেশ দিতে শিলিগুড়িতে আসেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরেই তিনি দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কতৃপক্ষ এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপারকে নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যাণ্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী জানান, অসংক্রমণ যোগ্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা দেশে ২১টি রাজ্যের মধ্যে ১০০টি জেলাকে বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রয়েছে। তিনটি জেলাতেই ওই রোগগুলির বিষয়ে সমীক্ষার কাজ করবে স্বাস্থ্য দফতর। তিনি বলেন, “অসংক্রমণ যোগ্য রোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ওই রোগে আক্রান্তের হার কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে,। তারই অঙ্গ হিসেবে দার্জিলিংয়ে কাজ শুরু হল।” ওই প্রকল্পে হাসপাতালগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান। রাজ্য এইমস নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জের সাংসদ দীপা দাশমুন্সি যে আন্দোলন করছেন তা নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কোনও ব্যক্তির একক আন্দোলনকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। এইমস কোথায় হবে তা নিয়ে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার। যেখানে রাজ্যের মানুষ বেশি উপকৃত হবেন সেখানেই এইমস হবে। কল্যাণীতে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলেও শুনেছি।” এদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শিলিগুড়ি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। সেখানে হাসপাতালের শিশু বিভাগ ঘুরে দেখেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন। |