|
|
|
|
দফতরে গেলেই হাজার টাকা ভাতা মন্ত্রীদের |
সুপ্রকাশ চক্রবর্তী • কলকাতা |
পরিবর্তন মন্ত্রীদের ভাতাতেও!
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ক্যাবিনেট পর্যায়ের মন্ত্রীদের থোক ভাতা ছিল মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা। আর নতুন সরকারের মন্ত্রীরা তাঁদের কার্যালয়ে এসে বসলেই দৈনিক এক হাজার টাকা ভাতা পাবেন।
এখন বিধানসভার অধিবেশন চলছে না। তাই একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে মন্ত্রীদের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন ইতিমধ্যে ওই অর্ডিন্যান্সে সইও করেছেন। অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে গত ২০ মে। মন্ত্রীদের ভাতা বাড়ানোর আদেশ কার্যকর হচ্ছে অবশ্য তারও প্রায় সাড়ে তিন মাস পর থেকে।
বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ক্যাবিনেট পর্যায়ের মন্ত্রীদের থোক ভাতা ছিল মাসিক সাড়ে সাত হাজার টাকা। আর মুখ্যমন্ত্রীর থোক ভাতা ছিল মাসিক আট হাজার টাকা। এ ছাড়া সরকারি কাজে কলকাতার বাইরে গেলে বাম সরকারের মন্ত্রীরা রাজ্যের প্রথম শ্রেণির আধিকারিকদের সমহারে ভ্রমণ ভাতাও পেতেন। রাজ্যের মধ্যে কোথাও গেলে সেই ভাতার পরিমাণ ছিল দৈনিক ২২৫ টাকা। আর দিল্লিতে গেলে দৈনিক ভাতা ছিল ৩০০ টাকা।
সদ্য জারি করা অর্ডিন্যান্স মোতাবেক নতুন সরকারের মন্ত্রীরা সরকারি কাজে বাইরে গেলেও দৈনিক এক হাজার টাকা ভাতা পাবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য এ বারের অর্ডিন্যান্সে আলাদা ভাবে কোনও বাড়তি ভাতার কথা বলা হয়নি।
মন্ত্রীদের ভাতার আগেকার হার নিয়ে বাম আমলের মন্ত্রীরা সরাসরি কিছু না-বললেও তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহলে এ ব্যাপারে কিছুটা অনুযোগ ছিলই। কারণ, তাঁদের মতে, ওই স্বল্প পরিমাণ ভাতা থেকেও অনেক মন্ত্রীই দলীয় তহবিলে ‘লেভি’ দিতেন। যে-সব মন্ত্রীর পরিবারে দ্বিতীয় কেউ আয় করতেন না, তাঁদের অসুবিধার বাস্তব কারণ ছিল যথেষ্টই।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মহাকরণে বেশির ভাগ মন্ত্রীর ঘরের চেহারার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। মন্ত্রীরা তো বটেই, সেই সঙ্গে তাঁদের সহকারীরাও কাজ চালাচ্ছেন ঝাঁ-চকচকে ঘরে বসে। এ বার মন্ত্রীদের ভাতার পরিমাণও আগের তুলনায় যথেষ্টই বাড়ল বলে মনে করছে সরকারি মহল।
১৯৫২ সালের পশ্চিমবঙ্গ বেতন ও ভাতা আইনের সংশোধন করে নতুন এই অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে। ছুটিতে থাকলে বা নির্বাচনী প্রচারে গেলে মন্ত্রীরা ওই ভাতা পাবেন না। |
|
|
|
|
|