ছাত্রীকে মারধর, অভিযুক্ত শিক্ষিকা |
ক্লাসে সহপাঠীদের সঙ্গে দুষ্টুমি করার ‘অপরাধে’ পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কান ধরে ওঠবোস করানো হয়েছিল। তার জেরে স্কুলের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন ছাত্রীটির বাবা। বাঁকুড়া রানিবাঁধ ব্লকের আকখুটা জুনিয়ার হাইস্কুলের ঘটনা। পল্লবী দাস নামের বছর দশেকের ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে তার পরিবারের দাবি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে তৃতীয় পিরিয়ড চলার সময় ক্লাসের মধ্যে পল্লবী সহপাঠীদের সঙ্গে দুষ্টুমি করছিল। তা নজরে আসতে ওই শিক্ষিকা তাকে কান ধরে ওঠবোস করান। ছাত্রীটির বাবা সুনীল দাসের অভিযোগ, “ওই শিক্ষিকা আমার মেয়েকে প্রথমে ডাস্টার দিয়ে গালে ও মাথায় আঘাত করেন। পরে কান ধরে তাকে ওঠবোস করানো হয়। এই ঘটনায় সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।” তাঁর দাবি, শুক্রবার সকালে মেয়ে খুবই অসুস্থ বোধ করে। তাঁকে রানিবাঁধ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। মাথার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে। এ দিন তিনি রানিবাঁধ থানায় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে রানিবাঁধের ভারপ্রাপ্ত বিএমওএইচ শুভদীপ দত্ত বলেন, “পল্লবী দাস নারে ওই ছাত্রী তার মাথ্যায় ব্যাথা বলে জানিয়েছিল। বাড়ির লোকজন তার মাথায় সিটিস্ক্যান করাতে চেয়েছিলেন। তাই পরে বাঁকুড়ায় স্থানান্ত করা হয়েছে।” তিনি জানান, ওই ছাীত্রীর শরীরে বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। অভিযুক্ত শিক্ষিকা অবশ্য দাবি করেন, “ক্লাসের মধ্যে দুষ্টুমি করায় পল্লবীকে কয়েকবার কান ধরে ওঠবোস করিয়েছিলাম। সেদিন ও কান্নাকাটি করে বাড়ি চলে যায়। ওকে মারধর করা হয়নি।” তাঁর আক্ষেপ, “কোনও ছাত্রীকে শাসন করার জন্য তার অভিভাবক যে পুলিশের কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে ভাবতে পারছি না!” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
|
বাংলায় পড়ানোর দাবি পাঞ্চেতে |
স্কুলে বাংলা ভাষায় পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করার দাবিতে সভা হল ঝাড়খণ্ডের পাঞ্চেতে। শুক্রবার তিনটি স্থানীয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে শোভাযাত্রা বের করে। পরে সভা হয়। কর্মসূচির উদ্যোক্তা ছিল ‘ঝাড়খণ্ড বাংলা ভাষা উন্নয়ন সমিতি’। পশ্চিমবঙ্গের এই প্রতিবেশী রাজ্যে বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতির দাবিতে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করেছিল এই সংগঠন। সমিতির নেতা বেণু ঠাকুর বলেন, “দীর্ঘ আন্দোলনের পরে ১৪ নভেম্বর রাজ্য সরকার বাংলা-সহ আরও কয়েকটি ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমাদের দাবি, রাজ্যের স্কুলগুলিতে বাংলা ভাষার শিক্ষক নিয়োগ ও পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থা করতে হবে।” এ দিন দুপুরে পাঞ্চেতের ডিভিসি হাইস্কুল, ডিভিসি মিড্ল স্কুল ও পাঞ্চেত বুনিয়াদি মধ্য বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার ছাত্রছাত্রী শোভাযাত্রায় যোগ দেয়। পরে বিকেলে স্থানীয় ছাতামোড়ে সভা করে বাংলা ভাষা উন্নয়ন সমিতি। ডিভিসি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পুলক রায় জানান, স্কুলগুলিতে বাংলা ভাষার শিক্ষক ও পাঠ্যপুস্তক না থাকায় পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ বাংলাভাষী হলেও হিন্দিকেই প্রথম ভাষা হিসেবে নিতে বাধ্য হয়েছে। পুলকবাবুর কথায়, “বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে রাজ্য সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। এর পরে স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ ও পাঠ্যপুস্তকের ব্যবস্থাও করা হোক।” সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের পাঞ্চেত শাখার সভাপতি সুশীল মাহাতো।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশকর্মীর |
দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পুলিশকর্মীর। জখম হয়েছেন দুই যুবক। পুলিশ জানায় মৃতের নাম মৃতের নাম পিন্টু দাস (৩৫)। তিনি বান্দোয়ান থানায় কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে তিনি কেনাকাট করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বান্দোয়ান চৌমাথায় একটি বাস তাঁকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় পিন্টুবাবুকে প্রথমে বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্ত করানো হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সন্ধ্যায় সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, সাঁওতালডিহিতে গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন দুই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, দেবু দে ও আশু বাউরি নামে আহত দুই যুবকের বাড়ি সাঁওতালডিহি থানার আগুইট্যাড় গ্রামে। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাটি ঘটে রঘুনাথপুর-সাঁওতালডিহি রাস্তায় মনগ্রামের কাছে। পুলিশ জানায়, ওই দুই যুবক রাতে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। একটি গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারে। জখম অবস্থায় দু’জনে রাস্তার ধারে পড়েছিলেন। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। রাতেই তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যালে রেফার করা হয়।
|
সুভাষচন্দ্র বসুর ‘অন্তর্ধান’ সম্পর্কে মুখোপাধ্যায় কমিশনের রিপোর্ট গ্রহণ, লোকসভা প্রকাশিত বইয়ে সুভাষচন্দ্রের মৃত্যুর তারিখ সংশোধন ও তাঁর জন্মদিনকে ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসাবে ঘোষণার দাবিতে শুক্রবার পুরুলিয়া ও রঘুনাথপুরে জেলভরো কর্মসূচি পালন করল ফরওয়ার্ড ব্লক। বস্তুত, গোটা রাজ্যেই এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিছু দিন আগে আইন অমান্য আন্দোলনে দলের কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশের বাধা টপকে সরাসরি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ঢুকে পড়ার কথা মাথায় রেখে এ দিনের কর্মসূচিকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ-প্রশাসন। তবে কর্মসূচি ঘিরে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। ফব-র জেলা সভাপতি নিশিকান্ত মেহেতা বলেন, “পুরুলিয়ায় ওই সব দাবিতে আমাদের ১৫, ২২২ জন এবং রঘুনাথপুরে ৫,৩৩২ জন কারাবরণ করেন। বিধি অনুযায়ী তাঁদের গ্রেফতার করে সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হয়।” কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার ফব সাংসদ নরহরি মাহাতো।
|
মাওবাদী হানায় জখম জওয়ান হত |
মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে গুরুতর জখম নাগা বাহিনীর এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। মাসাভিকা অঙ্গ (৩২) নামে আইআরবি-র নাগা বাহিনীর ১০ম ব্যাটেলিয়নের ওই জওয়ান রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। গত সোমবার সন্ধ্যায় বলরামপুরের খুনটাঁড় গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীর বাবা ও ভাইকে খুন করে পালানোর সময় যৌথ বাহিনীর মুখোমুখি পড়ে যায় মাওবাদীরা। রাতভর গুলির লড়াইয়ের সময়েই জখম হন নাগা বাহিনীর দুই জওয়ান। |