স্কুলে ছাত্রকে মারধর, অভিযোগ কাঁকরতলায়
ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। কাঁকরতলার বড়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কাঁকরতলা থানা ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে আসিফ আক্রম নামে ওই ছাত্রটির পরিবারের। শিক্ষিকা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে দেখা হবে।
আসিফের বাড়ি বড়রা গ্রামেই। আসিফের বাবা ফজলে করিমের দাবি, “সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে সব বিষয়ে ইউনিট টেস্ট দিয়েছিল ছেলে। পুজোর ছুটির পরে ফল বেরোলে দেখা যায়, ও ইতিহাসে মাত্র ৪ নম্বর পেয়েছে। কেন আমার ছেলে এত কম নম্বর পেয়েছে, তা জানতে ইতিহাসের শিক্ষিকা অর্পিতা গুঁইয়ের কাছে ওই বিষয়ের উত্তরপত্র দেখানোর অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে ওই উত্তরপত্র দেখতে চেয়ে স্কুলে আবেদন করি। সম্ভবত তাতেই চটে যান অর্পিতাদেবী।”
ফজলে করিমের জানান, এ দিন সকালে স্কুলে গিয়েও প্রথম পিরিয়ডের পরে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে আক্রম। কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, ইংরেজি শিক্ষক উপস্থিত না থাকায় প্রথম পিরিয়ড নিয়েছেন অর্পিতা ‘দিদিমণি’। ক্লাস শেষ হতেই তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে চড়-থাপ্পড় মারেন অর্পিতাদেবী বলে আসিফের অভিযোগ। ফজলে বলেন, “বড়রা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছেলেকে দেখালে চিকিৎসক সিউড়ি গিয়ে একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞকে দেখানোর পরামর্শ দেন। শুধু তাই নয়, আমার ছেলে এ দিন স্কুলে যাওয়া সত্ত্বেও রেজিস্টারে তার নাম তোলেননি ওই শিক্ষিকা। সে কারণেই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এবং থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।” সিউড়িতে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে আসিফ বলে, “কানে ব্যথা করছে।”
বড়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের টিচার-ইন-চার্জ কাঞ্চন অধিকারী বলেন, “বিষয়টিকে ঘিরে অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখান। আমি ওই শিক্ষিকার পাশাপাশি অন্য সহ-শিক্ষক এবং আক্রমের ক্লাসের ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করে নিশ্চিত হই যে, সে এ দিন ক্লাসে উপস্থিত ছিল। তখন বাধ্য হয়ে স্কুল রেজিস্টারে ওই ছাত্রের নাম তুলে দেওয়া হয়।” মারধরের অভিযোগের তদন্ত করে দেখা হবে বলে কাঞ্চনবাবু জানিয়েছেন। অর্পিতাদেবীর অবশ্য দাবি, “ওই ছাত্রটি এ দিন স্কুলেই আসেনি। তা হলে মারধরের প্রশ্ন উঠছে কী ভাবে?” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ তাঁকে নানা ভাবে ‘অপদস্থ’ করার চেষ্টা করেন। এমনকী যে সময় অভিভাবকেরা উত্তেজিত হয়ে তাঁকে ঘিরে ধরেছিলেন, তখন কাঞ্চনবাবু তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেননি। অর্পিতাদেবী বলেন, “গোটা ঘটনায় আমি অত্যন্ত হতাশ। কাঁকরতলা থানায় লিখিত ভাবে সব জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানাব।” কাঞ্চনবাবুর দাবি, অর্পিতাদেবী তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.