|
|
|
|
ব্যবসা বন্ধ নয়াগ্রামে |
তৃণমূল অফিসে বিক্ষোভ, ‘মারধর’ যৌথ বাহিনীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
দলের দুই স্থানীয় নেতার ‘আচরণ’ নিয়ে ‘মন্তব্য’ করায় এক ব্যবসায়ীকে ‘মারধর’ করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল অফিসের সামনে। সেই সময় তাঁদের লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠল যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামের খড়িকামাথানিতে ওই ঘটনার পরে দোকানপাট বন্ধ করে দেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। খড়িকামাথানি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গৌরীশঙ্কর মহাকুলের দাবি, “যৌথ বাহিনীর ওই হামলায় আমাদের কয়েক জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনার বিহিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যবসা-বন্ধ চলবে।”
তৃণমূলও খড়িকামাথানি বাজারে পাল্টা মিছিল করে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় যৌথ বাহিনী টহল দিচ্ছে। তবে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার গৌরব শর্মা এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে খড়িকামাথানি মার্কেট কমপ্লেক্সে তৃণমূলের একটি বৈঠক ছিল। সেখানে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। বিকেল ৫টা নাগাদ সেখানে শাসকদলের দুই নেতার ‘আচরণ’কে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ওই ‘আচরণের’ ব্যাপারে এক ব্যবসায়ীর মন্তব্যে ‘অসন্তুষ্ট’ হয়ে শাসকদলের নেতা-কর্মীরা ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করা ছাড়াও তাঁর দোকানে তালা লাগিয়ে দেন। এর পরেই মারধরে অভিযুক্তদের ক্ষমা চাইতে হবে দাবি তুলে তৃণমূলের স্থানীয় অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। সেই সময়ে নয়াগ্রাম থানার আইসি-র নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী সেখানে পৌঁছয়।
তৃণমূলের নয়াগ্রাম ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত অবশ্য বলেন, “খড়িকামাথানি ব্যবসায়ী সমিতির একাংশের মদত পাওয়া কিছু লোক দোকানের আড়ালে বেআইনি মদের ব্যবসা করেন। আমাদের দলের লোকজন তার প্রতিবাদ করেছিলেন বলেই ব্যবসায়ীদের একাংশ দলীয় কার্যালয় ঘেরাও করে আমাদের নেতা-কর্মীদের হেনস্থা করেন। পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপ করায় গোলমাল বেশি দূর এগোয়নি।” |
|
|
|
|
|