|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
বারুইপুর |
এ ভাবেই বাস |
দেবাশিস দাস |
নর্দমার জল সরার কোনও উপযুক্ত ব্যবস্থা আজও গড়ে ওঠেনি বারুইপুর শহরে। ফলে এলাকার অধিকাংশ নর্দমা বছরের বেশির ভাগ সময় আবর্জনা এবং জমা জলে আটকে থাকে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য: পুরসভা মাঝেমধ্যে নর্দমা পরিষ্কার করালেও লাভ কিছু হয় না। জমে থাকা নোংরা জলের দুর্গন্ধ আর মশা-মাছির উপদ্রব থেকে রেহাই নেই।
বাসিন্দাদের অভিযোগের সারবত্তা বোঝা যায় বারুইপুর স্টেশন, কাছারি বাজার, আদালত সংলগ্ন এলাকা ঘুরলে। ঘোষপাড়া, স্টেশন ফিডার রোড, উমাচরণ রায় রোড, নজরুল সরণি, এস ডি চ্যাটার্জি রোড এলাকায় কোথাও নর্দমা থেকে জল উপচে পড়ছে।
কোথাও আবার নর্দমার জল সরার পথ আটকে রয়েছে জমা বর্জ্যে। |
|
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় পুরসভা কয়েক মাস হল একটি নতুন নর্দমা তৈরি করেছিল। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। শুধু বাসিন্দারাই নন, এলাকার ব্যবসায়ীরাও নর্দমার সমস্যা নিয়ে ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, সপ্তাহে এক বার নর্দমা পরিষ্কার করা হলেও লাভ কিছু হয় না। বর্ষার সময়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
বারুইপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মিলন দাস বলেন, “ষাটের দশকে এই নর্দমাগুলি তৈরি হয়েছিল বারুইপুরে। তার পরে নর্দমার সংস্কার সংক্রান্ত আর কোনও কাজ এখানে হয়নি। পুরসভার তরফ থেকে এখন নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু লাভ কিছু হয় না। কারণ নর্দমার জল সরার কোনও রাস্তা নেই।”
বাসিন্দাদের অভিযোগ, অনেক সময় পুরসভার সাফাইকর্মীরা রাস্তা এবং নর্দমা পরিষ্কার করে বর্জ্যগুলো নর্দমার পাশেই রেখে দেন। দিন কয়েক পরে সেই বর্জ্যগুলো আবার নর্দমায় মিশে যায়। বিভিন্ন জায়গায় নর্দমায় ঢাকনা দিয়ে রাখা হয়েছে বলে তার নীচের আবর্জনা দীর্ঘ দিন পরিষ্কার হয় না। এই ভাবেই বছরের পর চলছে।
বাসিন্দাদের বক্তব্য, বারুইপুর শহরে গভীর নর্দমা খুব কম। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার সিংহভাগটাই অগভীর নর্দমার উপরে নির্ভরশীল। এই সমস্ত নর্দমার ধারণক্ষমতাও কম। |
|
বারুইপুর পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর সিপিএমের চিত্তরঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এলাকার অধিকাংশ নর্দমার কোনও আউটলেট নেই। আর যেগুলোর রয়েছে তা না থাকার মতো। পুরপ্রতিনিধি থাকার সময়ে চেয়ারম্যানকে এই সমস্যার কথা বললেই তিনি মাস্টারপ্ল্যানের কথা বলতেন।” বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের শক্তি রায়চৌধুরী বাসিন্দাদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর কথায়: “এলাকার জল বার হওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। তাই নতুন করে কালীতলা থেকে নর্দমা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে।”
|
ছবি: পিন্টু মণ্ডল |
|
|
|
|
|