পূর্ব কলকাতা: লেকটাউন, বারাসাত
দুর্ভোগ
ধূসর সরণি
ন্দে ভরা রাস্তায় বর্ষার সময় ইট বসিয়ে তাপ্পি মারা হয়েছিল। এখন অনেক জায়গায় সেই ইট ভেঙে গুঁড়ো হয়ে গিয়েছে। ফলে গাড়ি গেলেই ধুলো উড়ছে। দিনের বেলায়ই ধুলোয় ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। অতিষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসীরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বার বার জানানো সত্ত্বেও ২১১ নম্বর বাস রাস্তা মেরামতির উদ্যোগী হচ্ছে না রাজ্য পূর্ত বিভাগ।
দীর্ঘ দিন বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভিআইপি রোডের জোড়ামন্দির থেকে রাজারহাটগামী ২১১ বাস রাস্তা। লোকনাথ মন্দির, চিনার পার্ক, ডিরোজিও কলেজ, রাজারহাট চৌমাথা পেরিয়ে খড়িবাড়ি হয়ে এই রাস্তাটি বেলিয়াঘাটার কাছে টাকি রোডের সঙ্গে মিশেছে।
বসিরহাট, হাসনাবাদ থেকে ছোট-বড় গাড়ি রোজ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রাস্তাটির বেহাল দশা। কয়েক বার দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
বর্ষার সময়ে এই রাস্তায় ইট দিয়ে তাপ্পি দেওয়া হয়েছিল। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ভারী গাড়ির চাপে অনেক জায়গায় ইট ভেঙে গিয়েছে। কোথাও মাটি বেরিয়ে পরেছে। খন্দে ভরা রাস্তায় গাড়ি যাওয়ার সময়ে প্রচুর ধুলো উড়ছে। নিত্যযাত্রী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছেন।
চিনার পার্ক ক্রসিং থেকে রাজারহাট খামার পর্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই রাস্তাটির অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। এই অংশে রাস্তার ধারে রয়েছে একটি কলেজ এবং কয়েকটি ছোট-বড় স্কুল। ধুলোয় ছাত্রছাত্রী এবং বাসিন্দাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর ফলে অ্যালার্জি এবং ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হচ্ছে। বার বার পরিষ্কার করা সত্ত্বে দোকান ধুলোয় ভরে উঠছে।
অ্যাম্বুল্যান্সের রোগীদেরও অসুবিধা হয়। পথচারী মধুরিমা মণ্ডল বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে বছর পাঁচেকের মেয়েকে নিয়ে রোজ স্কুলে যাই। ধুলোর জন্য চলাই দায়। নাকে রুমাল দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেই।”
রাজ্য পূর্ত বিভাগ (সড়ক)-এর বারাসত হাইওয়ে ডিভিশন ১-এর এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুস্মিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চিনার পার্ক থেকে রাজারহাট পর্যন্ত রাস্তার মেরামতির জন্য ৫০ লক্ষ টাকা এবং রাজারহাট থেকে বেলিয়াঘাটা পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করার জন্য ১৬ কোটি টাকার অনুমোদন মিলেছে।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুরু করা হবে।
কিন্তু নর্দমাগুলি রাস্তা থেকে উঁচু হওয়ায় জমা জল বেরোতে পারে না। তাড়াতাড়ি রাস্তা খারাপ হয়ে যায়। পুরসভাকে নর্দমা নিচু করতে বলা হয়েছে।”

ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.