শেষবার লালবাজারে এসে বাইক চালিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এ বার চালালেন না বটে, কিন্তু পুলিশকর্মীদের অনুরোধে রয়্যাল এনফিল্ড বুলেটের গায়ে হাত দিয়ে পোজও দিতে হল। উঠল একের পর এক ছবি।
উপলক্ষ্য মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সংবর্ধনা। উদ্যোক্তা কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার লালবাজারে ধোনির হাতে স্মারক তুলে দেন পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা।
এ দিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ স্করপিও গাড়িতে লালবাজারে পৌঁছন ভারত অধিনায়ক। ইডেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট চলাকালীন ধোনিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ জানানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। তিনি সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ম্যাচ শেষে ধোনি কলকাতা পুলিশ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, শুক্রবারই তিনি লালবাজারে যাবেন।
এ দিন সেখানে ধোনিকে লিফটের মুখে স্বাগত জানান যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম ও যুগ্ম কমিশনার (ট্র্যাফিক) সুপ্রতিম সরকার। লিফটে দোতলায় উঠে কমিশনারের ঘরে ঢোকেন ধোনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার-সহ অন্য উচ্চ আধিকারিকেরা। সেখানেই ধোনির হাতে স্মারক তুলে দেন পচনন্দা। সোনার জল করা একটি প্লেট, প্লেটে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পতাকার কোলাজ। মিনিট দশেক কমিশনারের ঘরে ছিলেন ধোনি। এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কন্ট্রোল রুমের একতলার ‘ব্রিফিং রুম’-এ। শামিম জানান, মধ্যাহ্নভোজে চাইনিজ খাবারের আয়োজন ছিল। ধোনির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা।
ইতিমধ্যেই লালবাজারে রটে যায় ভারত অধিনায়ক এসেছেন। ধোনিকে এক ঝলক দেখার জন্য তখন স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। মধ্যাহ্নভোজ সেরে ধোনি ‘ব্রিফিং রুম’ থেকে বেরোতেই মোবাইলে ছবি তোলার ধুম পড়ে যায়। পুলিশকর্মীদের ভিড় ঠেলে কোনও মতে তাঁকে ফের লিফটে ওঠানো হয়। দোতলায় উঠে যুগ্ম কমিশনার (সদর)-এর ঘরে প্রায় এক ঘণ্টা কাটান ধোনি। পৌনে তিনটে নাগাদ লালবাজার ছাড়েন তিনি। লালবাজার ছেড়ে বিপিনবিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট সংযোগস্থলেও তখন উৎসাহী জনতার ভিড়। সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা। |