সকালটা দেখে সারাদিন কেমন কাটবে সব সময়ই কিন্তু বোঝা যায় না। দক্ষিণ আফ্রিকার ২৬৬-র জবাব দিতে নেমে ১৬৯-০ অবস্থায় লাঞ্চ সারতে গেলেও চা-বিরতির পরে ২৯৬ রানে অলআউট হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। সৌজন্যে ডেল স্টেইনের পুরনো বলে ভয়ঙ্কর রিভার্স সুইংয়ে ৪-৬৪। সঙ্গে পাক বংশোদ্ভুত লেগস্পিনার ইমরান তাহিরের ৩-৫৫। দুই অস্ট্রেলীয় ওপেনার শেন ওয়াটসন (৮৮) ও ফিল হিউজের (৮৮) হাতে গোড়ার দিকে বেধড়ক ঠ্যাঙানি সামলে যিনি পরের দিকে বিপক্ষের মিডল-লোয়ার অর্ডারে প্রত্যাঘাত করেন। তবে আসল ধাক্কাটা মাইকেল ক্লার্কের দলের ব্যাটিংকে দিয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর ফাস্ট বোলার স্টেইন।
উপর্যুপরি দ্বিতীয় বার শূন্যতে এলবিডব্লিউ হলেন রিকি পন্টিং। পেস বোলারের বলের গতি আর সুইং কোনওটার হদিশ না পেয়ে। যা সাঁইত্রিশ ছুঁই ছুঁই, টেস্টে সাড়ে বারো হাজার রানের ব্যাটসম্যানের ক্রিকেট-ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। শেষ হাফসেঞ্চুরিই পেয়েছেন এক বছর (২০১০ নভেম্বর) ও ১৩ ইনিংস আগে! পন্টিংকে ব্যাটিং অর্ডারে চারে নামিয়ে, তাঁর পজিশন তিনে অস্ট্রেলিয়া নামিয়েছিল পাক বংশোদ্ভুত ক্রিকেটার উসমান খোয়াজাকে।
৪৭ বলে নড়বড়ে ১২ রানের বেশি করতে না পেরে শন মার্শের চোট সারিয়ে দলে ফেরা খোয়াজা প্রায় নিশ্চিত করে দিলেন। ক্লার্ক (১১), হাসি (২০), হাডিন (১৬)-সবাই সাততাড়াতাড়ি ফিরে গিয়ে একটা সময় ওয়ান্ডারার্সেও কেপ টাউনের ৪৭-এর ভয়াবহ স্মৃতি জাগিয়ে তুলেছিল।
শেষের দিকে মিচেল জনসন ৩৮ নট আউট না করলে অস্ট্রেলিয়া সামান্য ৩০ রানের ‘লিড’-ও হয়তো পেত না। মন্দ আলোর জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা (বিনা উইকেটে ০) চার বলের বেশি ব্যাট করতে না পারলেও সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আবার ভাল মতো লড়াইয়ে ফিরে এসেছে। |