উৎসব
বসেছে আজ রাসের মেলা...
রাস উৎসবে মেতে উঠেছে সাতঘরা। বাকসাড়ার পুরাতন নবনারীকুঞ্জর মন্দির প্রাঙ্গণে এই উৎসব উপলক্ষে বসেছে মেলা। পনেরো দিনের এই উৎসবের সূচনা করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের স্বামী অরুণাত্মানন্দ। ছিলেন রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, বহু বছরের পুরনো এই মন্দির। পুরাতন নবনারীকুঞ্জ মন্দির কমিটির সম্পাদক রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় জানালেন, যত দূর জানা যায়, তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। প্রথমে ছিল গোলপাতার ছাউনি দেওয়া ঘর। পরে টালির শেড হয়। ১৯৫৮-র ঘূর্ণি ঝড়ে সেই শেড ভেঙে গেলে একটু একটু করে টিনের আটচালা গড়ে তোলার সঙ্গে তৈরি হয় কংক্রিটের মন্দির। প্রতি বছর বৈশাখী পূর্ণিমায় নবনারী বেষ্টিত কৃষ্ণ আরাধনায় মেতে ওঠেন এই অঞ্চলের মানুষ। টানা চার মাস ধরে চলে পুজো। শ্রাবণ মাসের শেষ রবিবার শোভাযাত্রার মাধ্যমে গঙ্গায় প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। ২৬ ফুট উচ্চতার মন্দিরে পূজিত হয় ২৩ ফুট উচ্চতার প্রতিমা। রাস পূজা কমিটির সম্পাদক প্রভাত ঘোষ জানালেন, এগারো বছরে পড়ল এই উৎসব।
খড়ের ছাউনির কুঁড়েঘরের সামনে রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি। দু’পাশে গোপিনীরা। সামনে চাঁদোয়ার নীচে সঙ্গীদের নিয়ে নামকীর্তনে মগ্ন নিমাই। খড়ের তৈরি ধানের গোলা, ঢেঁকি, কলাগাছ, তুলসীমঞ্চ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রামের পরিবেশ। নিজেদের হাতে মণ্ডপ সাজিয়েছেন সনাতন পোড়েল, নিমাই কামিলা, ব্রজগোপাল অধিকারীরা।
রাস্তার ধারে মডেলে কংসবধ, রাধাকৃষ্ণের হোলিখেলা, বকাসুর বধ, পুতনাবধ, কৃষ্ণের ননীচুরি, কারাগারে কৃষ্ণের জন্মের মতো নানা কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। ছোটদের আনন্দ দিতে নাগরদোলার সঙ্গে মেলায় হাজির ভূত-পেতনি আর গোপাল ভাঁড়। উৎসব চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত।
এ দিকে মধ্য হাওড়ায় নেতাজী সুভাষ রোডস্থ ‘হাওড়া ইউনাইটেড ক্লাব’-এর সপ্তাহব্যাপী রাস মেলার সূচনা করেন মুরারিমোহন বেদান্তাদিতীর্থ শাস্ত্রী। মেলা চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত।

ছবি: রণজিৎ নন্দী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.