|
|
|
|
ট্রেন থেকে পড়ে মৃত যুবক, খুঁজতে গিয়ে মৃত্যু সঙ্গীরও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। জখম হন তাঁর খুড়তুতো ভাই। তাঁদের খুঁজতে গিয়ে পুকুরে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে আর এক যুবকের।
বৃহস্পতিবার রাতে চুঁচুড়া স্টেশনের কাছ থেকে ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া রবীন্দ্র চৌধুরী (২৪) নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশ। তাঁর খুড়তুতো ভাই জখম রূপেশ চৌধুরীকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দু’জনেই টিটাগড়ের বাঁশবাগান এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে ওই স্টেশনের কাছের একটি পুকুর থেকে দীনেশ অগ্রবাল (৩৮) নামে তাঁদের সঙ্গীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি রিষড়ার বাঙ্গুর পার্ক এলাকায়। পুলিশের অনুমান, তিন জনেই নেশাগ্রস্ত ছিলেন। দু’টি দেহই ময়না-তদন্তের পাঠানো হয়।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান থেকে ট্রেনে করে তিন জন ফিরছিলেন। বর্ধমানে তাঁরা পরিচিত এক জনের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন। সকলে অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান করেন বলে পুলিশের অনুমান। তার ফলেই ট্রেনে বেসামাল হয়ে পড়েন। চুঁচুড়া স্টেশনের কাছে দুই ভাই পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর চোট পান। ঘটনাস্থলেই মারা যান রবীন্দ্র।
ট্রেনের ওই কামরাতেই ছিলেন এক নার্স। তিনি রেল পুলিশকে জানিয়েছেন, ট্রেন থেকে দু’জন পড়ে যাওয়ার সময়ে চেঁচামেচি হয়। রেল লাইনের পাশে রবীন্দ্র ও রূপেশকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা রেল পুলিশকে খবর দেন। দীনেশ চন্দননগর স্টেশনে নামেন সঙ্গীদের খুঁজতে। লাইনের পাশ দিয়ে হাঁটা পথ ধরেন চুঁচুড়া স্টেশন অভিমুখে। পথে কোনও ভাবে একটি পুকুরে পড়ে যান বলে তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান।
দীনেশ পানাগড়ে সেনা ক্যান্টিনে কাজ করতেন। রবীন্দ্র ছিলেন তাঁর সহকর্মী। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে যাওয়ার সময় রবীন্দ্র রূপেশকেও সঙ্গে নেন। হাওড়া রেল পুলিশ সুপার মিলনকান্তি দাস বলেন, “ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অন্য জন হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।” দীনেশের দেহ পুকুরে মেলায় জেলা পুলিশ আলাদা ভাবে মামলা রুজু করে তদন্ত করছে।
দীনেশের স্ত্রী নিতু শুক্রবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে আসেন। তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলে ওকে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করি। কিন্তু ও শোনেনি। শুক্রবার চুঁচুড়া থানার পুলিশের কাছে ঘটনার কথা জানতে পারি। কী যে হল বুঝতে পারছি না।” রূপেশের বাবা অমরনাথ চৌধুরী বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে কিছু না বলেই ছেলে বের হয়েছিল। কী করে এই ঘটনা হল তা বুঝতে পারছি না। ওঁরা সবাই ভাল বন্ধু ছিল।” |
|
|
|
|
|