অনেক দেশে আগেই চালু হয়ে গিয়েছে। জালিয়াতি রুখতে এ বার ভারতেও বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হল। তারই অঙ্গ হিসেবে নতুন পাসপোর্ট তৈরি বা পুরনো পাসপোর্ট নবীকরণের সময় আবেদনকারীর আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। আগামী ২৩ নভেম্বর এই প্রক্রিয়া শুরু হবে কলকাতায়।
সাধারণ পাসপোর্টের চেয়ে বেশি কী থাকে বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে? কলকাতার রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার আর শিবকুমার জানিয়েছেন, বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে আবেদনকারীর চোখের রেটিনা এবং আঙুলের ছাপ থাকে। এখন পাসপোর্টে এগুলো থাকে না। তবে কলকাতায় আঙুলের ছাপ নেওয়া শুরু করার পরেও সেই ছাপ আপাতত পাসপোর্টে দেওয়া যাবে না। তা কম্পিউটারে থাকবে। বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট তৈরির সময় তা কাজে লাগানো হবে। পরবর্তী কালে আবেদনকারীদের রেটিনার ছবিও নেওয়া হবে বলে জানান শিবকুমার।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়, এক জনের আঙুলের ছাপ বা রেটিনার সঙ্গে দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তির আঙুলের ছাপ বা রেটিনার মিল থাকে না। ফলে ওই দু’টি বিষয় দিয়েই পাসপোর্ট আসল না জাল, তা ধরা সম্ভব। বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট তৈরির প্রস্তুতি হিসেবে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। নতুন ধরনের আবেদনপত্র তৈরি করেছে ওই সংস্থা। ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে সেই ফর্ম। কম্পিউটারের সামনে বসেই ফর্ম পূরণ করে কম্পিউটারের মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। নতুন ব্যবস্থায় আবেদনকারীকে আবেদনপত্রে নিজের ছবি সাঁটতে হবে না। নির্দিষ্ট দিনে পাসপোর্ট অফিসে গেলে সেখানেই তাঁর ছবি তুলে নেওয়া হবে। আবেদকারীদের সুবিধার জন্য বিদেশ মন্ত্রক ই এম বাইপাসের ধারে নতুন বাড়ি তৈরি করেছে। পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব কাজ ব্রেবোর্ন রোডের পাসপোর্ট অফিস থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে নতুন ভবনে। এখন ডাকঘর বা জেলাশাসকের দফতরে পাসপোর্টের জন্য আবেদনপত্র দেওয়া হয়। শিবকুমার জানান, ধীরে ধীরে ওই ব্যবস্থাও তুলে নেওয়া হবে। |