শিশুর মৃগী মোকাবিলায় সতর্কতা চাই শিক্ষকদেরও |
পড়াশোনায় ভালই ছিল শিশুটি। কিন্তু ক্রমশই ক্লাসে পিছিয়ে পড়তে শুরু করল সে। শিক্ষিকারা প্রশ্ন করলে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকত শুধু। কোথাও কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পেরে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দিলেন তাঁরা। আর তার পরেই ধরা পড়ল শিশুটি মৃগী রোগে আক্রান্ত। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়েছিল বলে চিকিৎসায় তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, গোড়ায় ধরা পড়ে না বলেই বহু ক্ষেত্রে মৃগী সারে না অথবা সারতে সময় নেয়। বৃহস্পতিবার ই এম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃগী রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উপরেই জোর দিলেন চিকিৎসকেরা। কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। মৃগী রোগের উপসর্গ সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করেন চিকিৎসকেরা। স্নায়ুরোগের চিকিৎসক দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “বাচ্চারা অনেকটা সময়ই তো স্কুলে কাটায়। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সচেতন হওয়াটা খুব জরুরি। প্রয়োজনে তাঁরাই রেফার করতে পারবেন আমাদের কাছে।” কী কী উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা? দেবাশিসবাবু বলেন, “আচমকা খিচুনি শুরু হওয়াটা তো চেনা উপসর্গ। তার পাশাপাশি যদি কারও কথা জড়িয়ে যেতে থাকে, মাঝেমধ্যে অজ্ঞান হয়ে যায় কিংবা আগে পড়াশোনায় ভাল ছিল, হঠাৎ অবনতি হতে শুরু করে, তা হলে তা মৃগীর লক্ষণ হতে পারে।” স্নায়ু শল্যচিকিৎসক অমিতাভ চন্দ বলেন, “অস্ত্রোপচার করে মৃগী পুরো সারানো সম্ভব। সে-ক্ষেত্রে রোগটা গোড়ার দিকে ধরা পড়া জরুরি।”
|
বাবা ও দুই সন্তানকে নতুন জীবন দিল পিজি |
বাবা আর দুই ছেলে। তিন জনেরই হার্টের একটি ভাল্ভ জন্ম থেকে সরু। কিন্তু দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে খরচসাপেক্ষ চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার কোনও আশাই ছিল না। এসএসকেএম হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ট্রান্সক্যাথিটার পালমোনারি বেলুন ভালভোপ্লাস্টির মাধ্যমে সেই সমস্যা কাটিয়ে তিন জনকে নতুন জীবন দিলেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের চিকিৎসার খরচ বহন করেছে রাজ্য সরকারই। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বাসিন্দা ৩০ বছরের রফিক মণ্ডল এবং তাঁর দুই ছেলে ১১ বছরের তাজ মহম্মদ মণ্ডল এবং ছ’বছরের রফিকুল ইসলাম মণ্ডল পালমোনারি স্টোনোসিস নামে একটি অসুখে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা জানান, এর ফলে জন্ম থেকেই একটি ভাল্ভ অনেকটাই সরু থাকে। বংশগত এই অসুখকে চিকিৎসাবিদ্যার পরিভাষায় বলে ‘নোনান সিনড্রোম’। এ দিন কার্ডিওলজিস্ট অচ্যুত সরকার, সরোজ মণ্ডল, শুভাশিস মুখোপাধ্যায় এবং অ্যানাস্থেটিস্ট কাকলি ঘোষ ওই তিন জনের বেলুন ভালভোপ্লাস্টি করেন। বাবা এবং দুই সন্তান আপাতত সুস্থ বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। অচ্যুতবাবু বলেন, “এই রোগের কারণে তিন জনেরই প্রায় সব সময় শ্বাসকষ্ট হত। সামান্য কাজকর্মেও ক্লান্তিবোধ আসত। চিকিৎসা না-হলে হার্ট ফেলিওর হয়ে যে-কোনও সময়ে মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল তিন জনের ক্ষেত্রেই।”
|
নয়াচরে মৎস্য দফতরের মোহনা অতিথিশালায় বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির হল। স্থানীয় ৬০০ জনের স্বাস্থ্যপরীক্ষার পাশাপাশি বস্ত্র বিলিও করা হয়। আয়োজক সংস্থা ইউসিপিপিএল-এর জেনারেল ম্যানেজার পুলকেশ চট্টোপাধ্যায় জানান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতাতেই এই শিবির। |