বিদ্যুৎ বিল মেটাতে নোটিস রাজ্যকে |
বিদ্যুৎ বিল বাবদ পাওনা টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা ও সরকারি দফতরকে নোটিস দিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। সব মিলিয়ে তাদের থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩২০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বণ্টন সংস্থার। যার মধ্যে দেড়শো কোটি টাকার বিদ্যুতের বিল ফেলে রেখে দিয়েছে শুধু পুরসভাগুলিই। বণ্টন কোম্পানির এক কর্তা জানিয়েছেন, সাধারণ ভাবে সরকারি দফতরগুলি থেকে বিলের টাকা পেতে সময় লাগে। কিন্তু মাসুল না বাড়ায় সংস্থার এখন যা আর্থিক অবস্থা, তাতে পাওনা টাকা দ্রুত হাতে এলে এক মাসের মতো বিদ্যুৎ কেনার টাকা কোম্পানির ভাঁড়ারে চলে আসবে বলে তিনি দাবি করেছেন। সম্প্রতি বণ্টন কোম্পানি ২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি চেয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু সে বিষয়ে কোনও আশ্বাস এখনও সরকারের কাছ থেকে মেলেনি। উল্টে বণ্টন সংস্থা রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে ‘বিদ্যুৎ কর’ বাবদ তারা বছরে যে ৫০০ কোটির মতো টাকা রাজ্য সরকারকে দেয়, বিপুল ক্ষতির কারণে এ বার তারা তা দিতে পারবে না। বরং সরকারি দফতরগুলি যাতে দ্রুত বিল মিটিয়ে দেয়, সে ব্যাপারে রাজ্যের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সংস্থা সূত্রে খবর, পুরসভাগুলি ছাড়াও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে বণ্টন সংস্থার বিল বকেয়া রয়েছে ৭৩ কোটি টাকা। ৮৫ কোটির মতো বকেয়া রয়েছে সেচ, স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ থানাগুলিরও।
|
কর্মীরা পথে, বিঘ্ন সরকারি বাস-ট্রামে |
বকেয়া বেতন-সহ মোট ন’দফা দাবিতে আন্দোলনে নামলেন বাম পরিবহণকর্মীরা। এর জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রায় ৩ ঘণ্টা সরকারি বাস-ট্রাম পরিষেবা ব্যাহত হয়। বাম প্রভাবিত পরিবহণকর্মীরা এ দিন বেলা ১টা নাগাদ রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল করে সিএসটিসি ও সিটিসি-র সদর দফতরে যান। দুই সংস্থার কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিপত্র দিয়ে আন্দোলনকারীরা সমাবেশ করেন সিটিসি-র সামনে। কাজের দিনে বিক্ষোভ করে যাত্রীদের হয়রান করা হল কেন? সিটু প্রভাবিত সিএসটিসি কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রমাপ্রসাদ সেনগুপ্তের দাবি, “যাঁরা মিছিলে যোগ দেন, তাঁরা এ দিন ছুটি নিয়েছিলেন।” অক্টোবরের বকেয়া বেতন, পুজোর বোনাস বা অনুদানের বকেয়া ছাড়াও কর্মীদের দাবি, বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সিটু প্রভাবিত নেতারা বলেন, “দীর্ঘদিন পুরনো বাস ঠিকমতো মেরামত করা হচ্ছে না। ২০০টি বাস কেনার দাবি জানানো হয়েছে।” |