হকারমুক্ত নবদ্বীপ গড়ছে পুরসভা
প্রাচীন শহর নবদ্বীপের সংকীর্ণ রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে উঠছে। বেআইনি দখলদারদের দাপটে ফুটপাথ, রাস্তা দখল হওয়ার পাশাপাশি যত্র তত্র গজিয়ে ওঠা রিকশা স্ট্যান্ড কিংবা গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা--নবদ্বীপকে কার্যত অগম্য এক জনপদ করে তুলেছে।
সকাল বা সন্ধ্যার ব্যস্ততার মূহূর্তে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অনড় যানজট রোজকার চেনা এই চিত্র। বাধ্য হয়ে মানুষ তা মেনে নিলেও বাইরে থেকে আসা পর্যটকেরা বিপদে পড়েন। শহরের রাস্তাকে তাই বাধামুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে নবদ্বীপ পুরসভা। সম্প্রতি পুরসভার তরফে নবদ্বীপের দক্ষিণ থেকে উত্তর বরাবর প্রধান রাস্তাটির দুই ধারে যাবতীয় অনুমতিহীন গুমটি বা অস্থায়ী দোকানদারদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন,‘‘ প্রাচীন শহর নবদ্বীপের সরু রাস্তা এবং বিপুল জনসংখ্যার জন্য উদ্ভুত সমস্যার কথা সবাই জানেন। বৈষ্ণবতীর্থ নবদ্বীপে কার্যত বারো মাসে তেরো পার্বণ। সারা বছরই দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকেরা আসেন। উৎসবের মরসুমের তো কথাই নেই। পর্যটন এই শহরের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠছে।
শহরের অন্যতম প্রবেশ পথ ইদিলপুর থেকে পিরতলা পর্যন্ত এই দীর্ঘ রাস্তার দু’ধারে যারা আছেন তাদের কাছে আমি নিজে পুরসভার তরফে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।’’
পুরসভার তরফে ওই সব গুমটি বা অস্থায়ী দোকান সরানোর জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তবে পথ শুধু দখলমুক্ত করেই থেমে থাকছে না পুরসভা। ওই সব মানুষদের পুনর্বাসনের পরিকল্পনাও নিয়েছে পুরসভা। বিমানবাবু বলেন, ‘‘আমরা শহর সাজাতে গিয়ে কারো রুজি রোজগারে হাত দিতে চাই না। এই সব দোকানদারদের সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে নবদ্বীপের মতিরায় বাঁধ রোডে যে অসমাপ্ত টাউন হল দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে তার এক তলায় দোকানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। আশা করব প্রত্যেকে এই ব্যাপারে পুরসভাকে সহযোগিতা করবেন। ইতিমধ্যে আমরা যাঁর নামে সারা বিশ্ব নবদ্বীপকে চেনে, সেই মহাপ্রভু মন্দির সংলগ্ন পথটি বাধামুক্ত করতে পেরেছি।”
শহরের রাস্তা বাধামুক্ত করার পাশাপাশি নতুন করে সাজানো হচ্ছে ‘আনন্দ কানন’ নামে প্রাকৃতিক উদ্যানটি। প্রায় পঞ্চাশ বিঘার বেশি জায়গা নিয়ে প্রাকৃতিক জলাশয়-সহ ‘আনন্দ কানন’ এক সময়ে নবদ্বীপের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ছিল। মাঝে বেশ কয়েক বছর ওই উদ্যানটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আকর্ষণ হারিয়েছে। পুরসভা এবং একটি বেসরকারী সংস্থার উদ্যোগে এই উদ্যানটিকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘২৫ বছরের চুক্তিতে ওই সংস্থাকে ‘আনন্দ কানন’ এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” যে সংস্থা ‘আনন্দ কানন’ এর দায়িত্ব নিচ্ছেন তার কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা দু’টি পর্বে পার্কটিকে সাজিয়ে তুলব। প্রথম পর্বে ২০১১-১২ সালে গোটা পার্ক সোলার লাইটে সাজানো হবে। গ্রিন হাউস করা হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে চৈতন্যদেব সম্পর্কিত একটি মিউজিয়াম এবং তথ্যকেন্দ্রও।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.