টুকরো খবর
লোকালয়ে বাঘ, আতঙ্ক গোসাবায়
জঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি বাঘ নদী সাঁতরে গোসাবার জেমসপুর গ্রামে ঢুকে পড়ে বলে দাবি বাসিন্দাদের। বিষয়টি তাঁরা বন দফতরকেও জানিয়েছেন। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড ডিরেক্টর অঞ্জন গুহ বলেন, “জেমসপুর গ্রামে বাঘ ঢুকেছে বলে খবর মিলেছে। বনকর্মীরা এলাকায় গিয়েছেন।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা বিনোদ মণ্ডল এ দিন সন্ধ্যায় ধান কেটে ফেরার সময়ে খেতের ধারে বাঘ দেখতে পান। জেমসপুরের উল্টো দিকেই সুন্দরবনের পিরখালি জঙ্গল। মাঝখানে পিচখালি নদী। গ্রামবাসীরা জানান, ওই জঙ্গল থেকেই বাঘটি চলে আসে। বিনোদবাবু তখনই গ্রামবাসীদের খবর দেন। গ্রামবাসীরা মশাল জ্বালিয়ে ওই খেতের কাছে এসে অবশ্য বাঘ দেখতে পাননি। তাঁরা পটকা ফাটাতে শুরু করেন। রাত-পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অজানা রোগে মৃত গরু-মোষ
অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি গবাদি পশু মারা গিয়েছে। সারেঙ্গা ব্লকের গড়গড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার দুটি গ্রামে এই রোগের প্রকপ দেখা দিয়েছে। মাকড়কোল ও জখানালা গ্রামে গত পাঁচ দিনে রোগাক্রান্ত প্রায় ৪০টি গরু, বাছুর ও মোষ মারা গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। বৃহস্পতিবার সারেঙ্গা ব্লকের প্রাণী সম্পদ বিকাশ আধিকারিক সুজিত পাত্র কর্মীদের নিয়ে ওই এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত পশুগুলির চিকিৎসা করেন। সারেঙ্গার ব্লক প্রাণী সম্পদ আধিকারিক বলেন, “মাকড়কোল ও জখানালা গ্রামের প্রতিটি গরু, বাছুর ও মোষের দেহ পরীক্ষা করা হয়। ওষুধ ও ইঞ্জেকশন দেওয়া গয়েছে। রক্ত ও মূত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বাঁকুড়ায় পাঠানো হয়েছে।”

লোকালয়ে চিতাবাঘ
চিতাবাঘের হানায় আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লকের শালকুমারহাট দুই নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বন দফতর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে বন্যপ্রাণ তিন নম্বর বিভাগের জলদাপাড়া দক্ষিণ রেঞ্জের শালকুমারহাট বিটের কলাবাড়ি এলাকায় একটি বাছুর খায় চিতাবাঘটি। সেই থেকে সন্ধ্যার পরে বাইরে বার হচ্ছেন না বাসিন্দারা। শালকুমার হাট বিট অফিসার খগেশ্বর কার্জি বলেন, “মঙ্গলবার রাতে কলবাড়ি এলাকার সিদ্বার্থ রায়ের গোয়াল ঘর থেকে বাছুর চিতাবাঘ তুলে নিয়ে গিয়েছে। শালকুমারহাট দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কংগ্রেসের অঞ্চল সম্পাদক ভবেন কার্জি জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে চিতাবাঘ উৎপাত করছে। রাতে বাড়ি ফেরার সময় মোটর বাইকের আলোয় অনেকে চিতাবাঘ দেখেছেন। জমিতে চিতাবাঘের পায়ের ছাপও পেয়েছেন অনেকেই।

৭৫-এ চলে গেল পূর্ণিমা
নিজের খাবার আনতে গিয়ে জঙ্গলে পড়ে মারা গেল জলদাপাড়ার কুনকি হাতি পূর্ণিমা। বার্ধক্য জনিত কারণে ইদানীং মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ত ৭৫ বছর বয়সী ওই কুনকি হাতিটি। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের জন্য খাবার আনতে জলদাপাড়া উত্তর রেঞ্জের শিলতোর্ষা বিটের গভীর জঙ্গলে পূর্ণিমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে বসে পড়ে। খবর যায় পশু চিকিসকের কাছে। বন দফতরের চিকিৎসক এসে চিকিৎসা শুরু করার মুখে এ দিন বিকালে পূর্ণিমার মৃত্যু হয়। বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ১৯৮৩ সালে পূর্ণিমাকে শোনপুর পশু মেলা থেকে জলদাপাড়ায় নিয়ে আসার পরে বন রক্ষার কাজে লাগানো হয়েছিল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.