|
|
|
|
আন্দোলনের হুমকি কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত সিপিএম নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় আন্দোলনের হুমকি দিল কংগ্রেস। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের। কংগ্রেসের অভিযোগ, গত ৯ নভেম্বর কংগ্রেস পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে প্রধানের অনুপস্থিতিতে ব্যপক ভাঙচুর চালায় সিপিএম। অফিসের কর্মীদেরও মারধর করা হয়। সরকারি নথি লোপাট করে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কণিকা মণ্ডল বিশ্বাস এক সিপিএম নেতা সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রায়গঞ্জ থানার আইসি জ্যোতিষ রায় বলেন, “অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।” সিপিএম অবশ্য দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দলের রায়গঞ্জ লোকাল কমিটির সম্পাদক নীলকমল সাহা বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ আমাদের নেতা-কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে। তাঁরা ওই দিন স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য সময় চাইতে গিয়েছিলেন। প্রধান অনুপস্থিত থাকায় তাঁরা ফিরে আসেন। এর পরে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করা হয়। কংগ্রেস সদস্যরাই ভাঙচুর করেছেন। পুলিশ তদন্ত করলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।” সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশ মামলা শুরু করায় আজ, বৃহস্পতিবার সিপিএমের অভিযুক্ত নেতা-কর্মীরা রায়গঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করবেন। নীলকমলবাবুর দাবি, “পঞ্চায়েতের নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রকাশ্যে চলে আসায় বিপাকে আমরা আন্দোলন শুরু করি। সেই আন্দোলনকে স্তব্ধ করতেই মিথ্যে মামলা সাজানো হয়। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করা হবে।” পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্যভাতা, রাস্তা মেরামতি ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের দাবিতে গত ৯ নভেম্বর সিপিএমের একদল নেতা-কর্মীরা বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দিতে যান। সেই সময় পঞ্চায়েত প্রধান কণিকা দেবী সরকারি কাজে রায়গঞ্জে গিয়েছিলেন। প্রধানকে না পেয়ে সিপিএম কর্মীরা দফতরের চেয়ার, টেবিল, আলমারি ভাঙচুর করে। কর্তব্যরত পঞ্চায়েত কর্মীদের মারধর করা হয়। পঞ্চায়েত কর্মীদের একটি তালাবন্দি করে রাখা হয়। পঞ্চায়েত সচিবকে ভয় দেখিয়ে স্মারকলিপি গ্রহণ করতে বাধ্য করে। সরকারি নথিপত্র তছনছ করে লোপাট করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। কংগ্রেসের বাহিন অঞ্চল কমিটির নেতা দুর্গেশ ঘোষ বলেন, “এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আবিলম্বে আন্দোলনে নামা না হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য থানার কাজকর্ম অচল করে দিয়ে আন্দোলনে নামা হবে।” |
|
|
|
|
|