লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে দমকলের যেতে দেরি |
সর্বস্বান্ত ১১ দোকানদার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
আগুনে পুড়ে ছাই হল ১১ টি দোকান। বুধবার ভোরে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পেস্টারঝাড় বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। আগুনে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি বাড়িও। উড়ালপুল না-থাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে রেল গেট বন্ধের জন্য ঘটনাস্থলে যেতে গিয়ে দমকলের ইঞ্জিন অন্তত ১৫ মিনিট আটকে পড়ে বলে অভিযোগ। তাতে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। বুধবার লেভেল ক্রসিংয়ে উড়ালপুল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে রেল লাইনে বসে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। |
|
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুধবার ভোর রাতে পেস্টারঝাড় বাজারের একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখেন কয়েক জন যুবক। তাঁদের চিৎকারে অন্যান্য ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। ততক্ষণে বাজারের ওষুধ, হার্ডওয়ার, স্টেশনারি, মুদি দোকান-সহ ১১টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই কোচবিহার দমকল কেন্দ্র থেকে ২ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে রওনা হয়। অথচ পেস্টারঝাড় বাজারে ঢোকার মুখে লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে বিপাকে পড়তে হয়। ট্রেন যাওয়ার পর দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে নামেন। প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হন তাঁরা। |
|
পেস্টারঝাড় ব্যবসায়ী সমিতির অন্যতম কর্মকর্তা বিজয় কুমার বিশ্বাস বলেন, “সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। ওই লেভেল ক্রসিংয়ে উড়ালপুল এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্যের দাবিতে আন্দোলনে নামব।” ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের একজন ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ জানান, কম্পিউটারের দোকান থেকে ধোঁয়া বার হচ্ছে চিৎকার শুনে তিনি উঠে পড়েন। কিছুক্ষণের মধ্যে দমকলও এলাকায় পৌঁছয়। কিন্তু রেলের লেভেল ক্রসিংয়ের গেটে আটকে পড়ে দমকল। তিনি বলেন, “ওই কারণে কিছু সময় নষ্ট হয়। তা না হলে আমার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হত না।” দমকলের আধিকারিক মলয় ঘোষ জানান, প্রাথমিক তদন্তে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলেই তারা মনে করছেন। রেল গেট খোলা না থাকায় অগ্নিকাণ্ডের জায়গায় যেতে দেরি হয়। ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানান, পেস্টারঝাড় লেভেল ক্রসিংয়ের উড়ালপুল না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। উড়ালপুলের তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন। |
ছবি দু’টি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
|