উদ্বোধন হওয়ার এক দশক পেরিয়ে গেলেও গ্রামীণ হাসপাতালে রূপান্তর ঘটেনি কান্দির বড়ঞা হাসপাতালটির। ব্লক হাসপাতালেই থমকে রয়েছে তার পরিচয়।
কেন? মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সৈয়দ শাজাহান সিরাজের নির্বিকার জবাব, “পরিকাঠামো নেই, তাই চালু হয়নি।”
স্বাস্থ্যকর্তার এমন যুক্তি মানতে অবশ্য নারাজ বড়ঞার বাসিন্দারা। বাম জমানায় তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্থ দে প্রায় এগারো বছর আগে ওই গ্রামীণ হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন। আস্বাস ছিল, শীঘ্রই সেখানে গ্রামীণ হাসপাতালের পরিষেবা চালু হবে। কিন্তু সে প্রতিশ্রতি ক্রমেই ফিকে হয়ে গিয়েছে।
অপারেশন থিয়েটার আছে কিন্তু না আছে সার্জেন, না আছে অ্যানেস্থেটিস্ট। ফলে মরচে পরে গিয়েছে ছুরি কাঁচিতে। কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই ওই হাসপাতালে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্যকর্মী ক্ষোভের তালিকায় যোগ করলেন, “এই হাসপাতাল থেকে সারা ব্লকের স্বাস্থ্যপরিষেবা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও অফিস নেই। হাসপাতালের দু’টি ঘর দখল করে কাজ করতে হচ্ছে। আর এক্স-রে রুমে হয় মিটিং। ব্লাডস্টোরেজ থাকার কথা, নেই।এই তো অবস্থা।”
বর্তমানে ওই হাসপাতালটিতে ৩০টি শয্যা আছে। অথচ থাকার কথা আরও ২০টি শয্যার। একই দশা ওই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে সাফাই কর্মীর। ৬ জন সাধারণ চিকিৎসক থাকার কথা। আছে মাত্র চার জন। নার্স থাকার কথা ১৩ জন, আছেন ১১ জন। সাফাই কর্মী ৬ জনের পরিবর্তে আছে মাত্র ৪ জন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর ভাঁড়ারেও টান। স্টোর কিপার, ওয়ার্ডমাস্টার কোনও দিনই আসেননি ওই হাসপাতালে। এ ছাড়াও একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ও একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ থাকার কথা। কিন্তু তাঁরা আর এসে ‘পৌঁছননি’।
তবে সপ্তাহে তিন দিন দাঁতের চিকিৎসক কান্দি মহকুমা হাসপাতালে থেকে এসে চিকিৎসা করেন। ওই হাসপাতালে বড়ঞা ব্লকের বাসিন্দারা ছাড়াও বীরভূম ও বর্ধমান জেলার বহু বাসিন্দা চিকিৎসা করতে আসেন। কিন্তু হাসপাতালটি উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও হেলদোল নেই স্বাস্থ্য দফতরের।
বড়ঞার বিধায়ক কংগ্রেসের প্রতিমা রজক বলেন, “বড়ঞা হাসপাতালটি কেন গ্রামীণ হাসপাতালের চেহারা নেয়নি। কেন? স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে কোনও উত্তর পাইনি।”
দুর্ঘটনায় মৃত্যু। লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের। মঙ্গলবার রাতে নাকাশিপাড়ার যুগপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানায়, রাস্তা পার হওয়ার সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। |