|
|
|
|
দুই কর্তার কাজিয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাজগঞ্জ |
এলাকা নিয়ে দুই ডাকঘরের চাপানউতোরে চিঠি পেতে বাসিন্দাদের হয়রানি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলের নাকুগছ শাখা ডাকঘর ও ফুলবাড়ি-২ অঞ্চলের ফুলবাড়ি শাখা ডাকঘরের ঘটনা। ডাকবিভাগের জলপাইগুড়ির সুপার নিলাদ্রী সাহা বলেন, “আমাদের কাছে বাসিন্দাদের কেউ এমন কোনও ঘটনার অভিযোগ করেননি। এমনকী ওই দুই ডাকঘর থেকেও কিছু জানানো হয়নি। তবে অভিযোগ গুরুতর। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যে তিনটি এলাকা নিয়ে ওই দুই ডাকঘরের চাপানউতোর সেই এলাকাগুলি হল বানিয়াপাড়া, রূপচন্দ্রগছ ও জয়দেবভিটা। ফুলবাড়ি ডাকঘরের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, ১৭টি গ্রাম নিয়ে ফুলবাড়ি ডাকঘরের বিট এলাকা। চারিদিকে ৪৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে চিঠিপত্র বিলি করতে হয়। কাজের সুবিধার জন্য ডাকবিভাগ থেকেই ১৯৯৯ সালের মে মাসে বিট ভাগ করে দেওয়া হয়। আগে যে পোস্ট মাস্টার ছিলেন, সেই সময় চিঠিপত্র বিলির ব্যবস্থা ছিল। এ বছরের এপ্রিল মাসে রবীন্দ্রনাথ রায় নামে যে নতুন পোস্টমাস্টার কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি ওই চারটি এলাকায় চিঠিপত্র বিলি করা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। নাকুগছ ডাকঘরের ঠিকানায় কোনও চিঠিপত্র গেলে তা ফের ফুলবাড়ি ডাকঘরের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “ওই তিন এলাকা ডাকঘরের অধীনে পড়ে না। সরকারি কোনও নির্দেশও নেই। সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলের ১৫টি এলাকা নিয়ে আমাদের চিঠিপত্র বিলি করতে হয়। আমরা কেন বাড়তি চাপ নেব? তার দাবি, ওই তিন এলাকা আগে ফুলবাড়ির অধীন ছিল। এখনও রয়েছে। ফুলবাড়ি ডাকঘর ইচ্ছে করেই দায়িত্ব এড়াচ্ছে। ফুলবাড়ি ডাকঘরের ঠিকানায় চিঠিপত্র আসলে নাকুগছ ডাকঘরের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রবীন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ। প্রকৃতপক্ষে কোন এলাকা কার দায়িত্ব? তা অবশ্য ডাকবিভাগ স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি। ডাকবিভাগের পরামর্শ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ওই দুই ডাকঘর সমস্যা সমাধান করে নিতে পারে। ডাকবিভাগের এমন যুক্তিতে ক্ষুব্ধ ওই তিন এলাকার বাসিন্দারা। রূপচন্দ্রগছের বাসিন্দা কংগ্রেস নেতা হারুণ-অল-রশিদ, প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক রবিউল করিম ও বানিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা এসইউসি নেতা আবুল কাশেম বলেন। “ডাক পরিষেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু ওই দুই ডাকঘরের এলাকা নিয়ে এই চাপানউতোরে আমাদের যথেষ্ট হয়রানি হতে হচ্ছে। ওই দুই ডাকঘর থেকে সঠিক সময়ের মধ্যে চিঠিপত্র পাচ্ছি না। চিঠিপত্র প্রেরকের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোথায় থেকে কী গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র আসে তা আমরা জানতেই পারছি না। চিঠিপত্রের খোঁজে আমাদের ওই দুই ডাকঘরে ছোটাছুটি করতে হয়। বিষয়টি নিয়ে ডাকবিভাগের পদস্থ কর্তাদের হস্তক্ষেপের দাবি করছি।” সমস্যা না মেটানো হলে তাঁরা আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|