এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দুই ভাসুর ও দুই জায়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ওন্দা থানার তেলিবেড়িয়া গ্রামে। ওই গ্রামের বধূ ছন্দা ঘোষ (১৯) সে দিন দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করার পরে রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের অনুমান বিষপানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বধূটির বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেন। বধূটির স্বামীকে পাকড়াও করে তাঁরা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে বধূটির কাকা মোহন কাপড়ি তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য জামাই মিলন ঘোষ, তাঁর বাবা, মা ও দুই দাদা-বৌদির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পাত্রসায়র থানার বীরসিংহ গ্রামের ছন্দার সঙ্গে দুধ ব্যবসায়ী মিলন ঘোষের বিয়ে হয় বছর তিনেক আগে। মোহনবাবুর অভিযোগ, “বিয়েতে যথেষ্ট যৌতুক নিয়েছিলেন মিলন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাত তুলে তাঁরা ভাইঝির উপরে অত্যাচার শুরু করে। মাস তিনেক আগে ভাইঝি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে তাঁর উপরে আত্যাচার আরও বেড়ে যায়। তাঁকে অপয়া অপবাদ দিয়ে লাঞ্ছনা করতে থাকে। তা সহ্য করতে না পেরেই ভাইঝি আত্মহত্যা করেছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত বধূর স্বামী মিলন ঘোষকে আটক করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তেরা বাড়িতে নেই। তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে।
|
সড়ক পথে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা নিয়ে আসার দাবি জানাল ট্রাক মালিকদের সংগঠন। সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠক করে দুর্লভপুর ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের ওই সংগঠনের সম্পাদক গৌতম মিশ্র বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে আমরা ট্রাকে করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য বিভিন্ন খনি থেকে কয়লা নিয়ে আসছি। জেলা প্রশাসন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও আমাদের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী দৈনিক ৬-৭ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহণ করছি। কিন্তু তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সেই চুক্তি ভঙ্গ করেছে। এখন তারা ইসিএল এবং বিসিসিএলের খনি থেকে সড়কপথে কয়লা পরিবহণ করছে না। ফলে ট্রাকে করে কয়লা নিয়ে আসার কাজে যুক্ত কয়েক হাজার কর্মী সমস্যায় পড়েছেন।” মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস মিত্র বলেন, “যে খনিগুলি থেকে সড়ক পথে কয়লা নিয়ে আসা হত সই খনিগুলি এখন কয়লা সরবরাহ করছে না। বিকল্প ব্যবস্থায় রেলপথে কয়লা নিয়ে আসা হচ্ছে। তাই সড়কপথে কয়লা নিয়ে আসা বন্ধ রয়েছে।”
|
বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ছাড়ার সময় তালিকা নেই। বাস ছাড়ার সময়ও ঘোষণা করা হয় না। এ দৃশ্য মানবাজার বাসস্ট্যান্ডের। এরফলে যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। মানবাজার বাসস্ট্যান্ডে সারাদিনে সত্তরটি বাস যাতায়াত করে। বোরোর বাসিন্দা সুবোধ মাহাতো, সিন্দরি গ্রামের অজিত মাহাতোদের অভিযোগ, “কখন বাসস্ট্যান্ডে কোন রুটের বাস ঢুকছে, কোন রুটের বাস বের হচ্ছে তা বোঝা খুবই সমস্যার। যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে বিভিন্ন রুটের বাস ছাড়ার সময় সারণী নেই। মাইকেও ঘোষণা করা হয় না। ফলে অসতর্ক হলে বাস পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে।” বান্দোয়ানের বাসিন্দা শুকুরমনি হাঁসদা বলেন, “প্রতীক্ষালয়ের সামনে একটি সময় সারণী রয়েছে, কিন্তু তা পড়া যায় না। কয়েক বছর আগে তা লেখা হয়েছিল। এখন তা অস্পষ্ট হয়ে পড়েছে।” তার উপরে ওই লেখা আড়াল করে ঠেলাগাড়ি থাকে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র মানবাজার ব্লক সভাপতি জয়দেব চক্রবর্তীর আশ্বাস, “বাস যাতায়াতের সময় তালিকা থাকা খুবই দরকার। শীঘ্রই আমরা ওই তালিকা তৈরি করে দেব।”
|
খাতড়া আদিবাসী কলেজ এই দৌড়ের আয়োজন করেছিল। বুধবার সকালে কাশীপুর জঙ্গল থেকে এই দৌড় শুরু হয়েছিল। শেষ হয় খাতড়ার দাসের মোড়ে। ওই কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক মনোজিৎ মণ্ডল জানান, প্রতিযোগিতায় ২১ জন ছাত্র যোগ দেন। দীনবন্ধু কুম্ভকার প্রথম, মিহির দাস দ্বিতীয় ও রাখাল মাঝি তৃতীয় স্থান দখল করেন। |