র্যাগিং কাণ্ডে অভিযুক্ত দুই পড়ুয়াকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ‘সাসপেন্ড’ করল। শান্তুনু চৌধুরী ও পৃথ্বীজিৎ রায় নামের ওই দুই ছাত্রকে মঙ্গলবারই জেলহাজতে পাঠায় বিষ্ণুপুর আদালত। তারপর তাঁদের কলেজ থেকে ‘সাসপেন্ড’ করার সিদ্ধান্ত নিল বিষ্ণুপুরের মল্লভূম ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’র অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান তথা কলেজের অধ্যক্ষ শরণকুমার সান্যাল বুধবার বলেন, “আমরা তদন্ত করে সরাসরি ওই ছাত্রের দোষ খুঁজে পেয়েছি। তাঁদের এক বছরের জন্য কলেজ থেকে ‘সাসপেন্ড’ করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আরও একজন সেদিন ছিলেন। সেই ছাত্রটিকে ছাত্রাবাস ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” হস্টেল ওয়ার্ডেন ও নিরাপত্তা কর্মীর গাফিলতিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ এ দিন পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, “হস্টেল ওয়ার্ডেন ও নিরাপত্তা রক্ষীর গাফিলতি রয়েছে কি না সে ব্যাপারেও তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।”
বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসন কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল। এ দিন মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) সুশান্ত চক্রবর্তীর কাছে সেই রিপোর্ট জমা দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। রবিবার রাতে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দ্বৈপায়ন ঘোষকে হস্টেলে নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে। তারপর তাঁকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মহকুমাশাসকের নির্দেশে তাঁর ইনজুরি রিপোর্ট এ দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মহকুমাশাসকের কাছে জমা দেন। পরে মহকুমাশাসক বলেন, “দু’টি রিপোর্ট পড়ার পরে আমি জেলাশাসককে জানাব।” |