প্রশাসন চেষ্টা করেও এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হল চত্বর থেকে জবর দখলকারীদের সরাতে পারলো না। বুধবার পুলিশ গিয়ে ওই সভাঘরের চত্বর থেকে জবরদখলকারীদের ঝুপড়ির প্লাস্টিক-সহ সরঞ্জাম সরিয়ে দেয়। কিন্তু পরে ফের তাঁরা সেই সব জিনিস টেনে এনে বসবাস শুরু করে দিলেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহরের সুপ্রাচীন এই সভাঘরের চত্বরে ঝুপড়িতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের আগেই সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসন জানিয়েছিল। শহরের এক প্রান্তে তাঁদের বসবাসের জন্য জায়গাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁরা সেখানে সরে যান নি। |
উচ্ছেদের চেষ্টা। ছবি: অভিজিৎ সিংহ। |
জবরদখলকারী মানিক দাস, মাধব সিংদের অভিযোগ, “হরিয়ালগাড়া গ্রামে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় আমাদের জমি দিয়েছে প্রশাসন। সেখানে পানীয় জল, বিদ্যুৎ নেই। আমরা সেখানে যাব না।” মহকুমাশাসক (বাঁকুড়া সদর) শ্যামল মণ্ডল বলেন, “এই ঐতিহ্যবাহী হলের সংস্কার করা হচ্ছে। ওই জায়গায় জবর দখলকারীদের থাকতে দেওয়া হবে না। তাঁদের বসবাসযোগ্য জায়গাতেই পুনবার্সন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।” তিনি জানান, তাঁদের ফের সরানোর চেষ্টা করা হবে।
অন্য দিকে, ওই হলের সংস্কারের জন্য দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসা বাঁকুড়া শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সমাজ, ভারতীয় সংস্কৃতি চক্র ও বাঁকুড়া পেইন্টার্স ফোরামের তরফে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “শুধু ওই ক’টি পরিবারই নয়, এই সভাগারের জায়গা বেদখল করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও রয়েছে। আমরা সার্বিকভাবে এই সভাগারটিকে দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছি।” তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন সে ব্যাপারে উদাসীন। |