দোকান নির্মাণে দুর্নীতি করা হয়েছে বলে সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব সম্প্রতি পুরুলিয়ার জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছেন রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক।
কাশীপুর ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশীপুর সদরে গবাদি পশুর হাট লাগোয়া এলাকায় ১২টি দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করা হয় ২০০৫ সালে। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতি। মোট ৪৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এই কাজে। দোকানগুলি নির্মাণ করে স্থানীয় যুবকদের ব্যবসা করার জন্য সেগুলি দেওয়ার কথা। পুরনো নিয়ম অনুযায়ী জবওয়ার্কার নিয়োগ করেই কাজ শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি। কিন্তু, বরাদ্দ করা টাকার সিংহভাগ খরচ হয়ে গেলেও দোকানগুলি তৈরি করার কাজ এখনও শেষ করতে পারেনি পঞ্চায়েত সমিতি। সেই কাজ নিয়েই পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০০৫ সালে দোকানগুলি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও মাত্র ১২টি দোকান এখনও পর্যন্ত তৈরি করতে পারেনি। অথচ, ইতিমধ্যে ৮৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া অভিযোগে কংগ্রেসের কাশীপুর অঞ্চলের সভাপতি স্বপন চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, “নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে দোকানগুলি তৈরি করা হচ্ছে। ৪৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেল অথচ, ১২টি দোকান এখনও তৈরি করা হল না। প্রচুর টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।”
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি সত্যরঞ্জন বাউরি বলেন, “দোকানগুলি নির্মাণ করা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে যে অভিযোগ হয়েছে প্রশাসন তা তদন্ত করে দেখছে। তদন্ত শেষ হলেই অভিযোগ যথাযথ কিনা তা প্রমাণিত হবে।” টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা সময়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় দোকানগুলি নির্মাণ শেষ করা যায়নি বলে জানানো হয়েছে। মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) আবিদ হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে তিনি নিজে এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছেন। বলেন, “যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে সেই তুলনায় কাজ যথাযথভাবে করা হয়েছে কিনা তা কাশীপুর ব্লকের সহকারী বাস্তুকারকে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা করতে বলেছি। তারপরেই বোঝা যাবে দুর্নীতি হয়েছে কি না।” তাঁর আশ্বাস, দুর্নীতি করা হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |