|
|
|
|
অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে এসএফআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পরিচালন-ব্যবস্থায় পরিবর্তন সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে প্রচার শুরু করল এসএফআই। লিফলেট ছাপিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিলি করা শুরু করেছেন এসএফআই কর্মীরা। সেই সঙ্গে বিক্ষোভ-মিছিলও চলছে। সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা বলেন, “এই অর্ডিন্যান্স এক অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী পদক্ষেপ। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ-আন্দোলন চলবে।”
রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে এ জেলার কলেজ ক্যাম্পাসেও ‘কোণঠাসা’ হয়েছে এসএফআই। প্রভাব বেড়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি)। এসএফআইয়ের একাংশ সমর্থক ইতিমধ্যেই সংগঠন বদল করেছেন। এই পরিস্থিতি থেকে ‘ঘুরে দাঁড়াতে’ মরিয়া সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। অর্ডিন্যান্স জারির বিষয়টিকে তারা আপাতত হাতিয়ার করছে। এসএফআইয়ের জেলা কমিটির এক সদস্যের কথায়, “ছাত্রছাত্রীদের কাছে রাজ্য সরকারের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরতেই এই লিফলেট ছাপানো হয়েছে।”
কী লেখা রয়েছে সেখানে? লিফলেটের শুরুতেই লেখা, ‘ঘৃণার আগুনে জ্বালিয়ে দাও...শিক্ষাক্ষেত্রে অগণতান্ত্রিক অর্ডিন্যান্স।’ লেখা রয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য পরম্পরাগত গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহকে এই সরকার ধ্বংস করার সর্বাত্মক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিধানসভায় আলোচনা ছাড়া প্রায় সব কিছুতেই অর্ডিন্যান্স জারির পদ্ধতি গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক’। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে কী সমস্যা হতে পারে, তারও উল্লেখ রয়েছে এই লিফলেটে। শেষে লেখা, “শিক্ষায় গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এই দানবীয় ‘কালাকানুন’ অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই আইন আসলে শিক্ষাকে বেসরকারিকরণ ও কর্পোরেট মুনাফার পথ প্রশস্ত করার প্রাথমিক পদক্ষেপ। ছাত্র-স্বার্থে, শিক্ষার স্বার্থেই লড়াই জরুরি’। এসএফআইয়ের অভিযোগ, তাদের কর্মীরা কলেজে কলেজে এই লিফলেট বিলি করতে গিয়েও টিএমসিপি-র বাধার মুখে পড়ছেন। অভিযোগ উড়িয়ে টিএমসিপি-র নেতা বুদ্ধ মণ্ডল বলেন, “এই অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কোথাও কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। গত ৩৪ বছর ধরে ওরাই বরং কলেজে কলেজে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছিল।” |
|
|
|
|
|