|
|
|
|
কিসান ক্রেডিট-কার্ডের চল বাড়াতে উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কিসান ক্রেডিট কার্ডের আওতায় আরও বেশি সংখ্যক চাষিকে আনার উদ্যোগ শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। কী ভাবে চাষিদের কাছে এই কার্ড সম্পর্কিত সব তথ্য পৌঁছে দেওয়া হবে, কী ভাবেই বা তাঁরা আবেদনপত্র পূরণ করবেন, বুধবার এ নিয়েই এক বৈঠক হল মেদিনীপুরে। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য, জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) তপন ভুঁইয়া, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সমীর হাজরা প্রমুখ। ব্লকের কৃষি আধিকারিক ও সহায়কেরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উপ-কৃষি অধিকর্তা বলেন, “এমন প্রকল্পের ফলে চাষিরাই উপকৃত হবেন। নানা কারণে মাঝেমধ্যে জেলায় চাষের কাজ মার খায়। চাষিদের কিসান-ক্রেডিট কার্ড থাকলে তাঁরা ফসলের ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন। ফলে, বড় ধরনের ক্ষতির মুখ দেখতে হবে না।”
মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, সরকার চাষিদের পাশেই থাকবে। কৃষকদের জন্য কয়েকটি প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে খবর, কিসান ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি এড়াতে যুগ্ম ঋণ-দায় গোষ্ঠী প্রকল্পের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বুধবারের বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনাও হয়। এই গোষ্ঠী প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে কৃষি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বিশেষত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের কথা ভেবেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। আগে ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই এর কাজ হত। এখন সেখানে কৃষি দফতরের ভূমিকাও রয়েছে।” তাঁর কথায়, “কোনও এক বা দু’জন নয়, এক সঙ্গে পাঁচ-ছ’জন চাষি মিলেই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাঁরা ক্ষুদ্র কৃষক।”
জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেলায় দেড় লক্ষ কিসান ক্রেডিট কার্ডের ফর্ম পাঠানো হয়েছে। যুগ্ম ঋণদায় গোষ্ঠী প্রকল্পের জন্য ফর্ম পৌঁছেছে পনেরো হাজার। জেলা থেকে আবার এই সমস্ত আবেদনপত্র ব্লকস্তরে পাঠানো হয়েছে। এক আধিকারিকের কথায়, “ব্লক কৃষি দফতরে গেলেই কৃষকেরা ফর্ম পাবেন। এ ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কী ভাবে ফর্ম পূরণ করতে হবে, তাও ব্লকস্তর থেকে জানা যাবে।” |
|
|
|
|
|