|
|
|
|
শিক্ষকদের আটকে বিক্ষোভ টিএমসিপির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
পরীক্ষার হলে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষামূলক ভ্রমণের কথা বলতে গিয়েছিলেন কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক। তাতে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষার পরে তিন কলেজ শিক্ষিকা ও এক শিক্ষককে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল ছাত্রসংসদের সদস্য-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরেএই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এগরা কলেজে। শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষের হস্তক্ষেপে আড়াই ঘণ্টা পরে মুক্তি পান ঘেরাও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
মঙ্গলবার বাংলা অনার্সের প্রথম বষের্র অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছিল কলেজের তিন তলার একটি ঘরে। বাংলা বিভাগের প্রধান শ্রাবস্তী রায়ের অভিযোগ, “পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পরে ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক তাপস পাল শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষামূলক ভ্রমণ নিয়ে কিছু বলতে চায়। আমি তাতে আপত্তি জানালে সামান্য বচসা হয়। সেই সময় ওরা বেরিয়ে গেলেও পরীক্ষা শেষে আমাদের ঘিরে ধরে হেনস্থা করে।” পরীক্ষা হলে সঙ্ঘমিত্রা দাস, প্রীতিলতা মাইতি ও শান্তনু দলাই নামে আরও তিন জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন। অভিযোগ, ছাত্রসংসদের সদস্য-সহ বহিরাগত ছেলেরা চার কলেজ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে ঘিরে গালিগালাজ করতে থাকেন। হুমকিও দেন। এমনকী শান্তনুবাবুকে মারতেও উদ্যত হন বলে অভিযোগ। এরপর তিন তলার গ্রিলের দরজা বাইরে থেকে আটকে দেন ছাত্রেরা। কিছু পরীক্ষার্থী তখনও ভিতরে ছিলেন। পরে অবশ্য তাঁদের বাইরে বার করে দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটকে বিক্ষোভ চলতেই থাকে। ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক তাপসের বক্তব্য, “পরীক্ষা শুরুর মিনিট পনেরো আগে কলেজের শিক্ষামূলক ভ্রমণে ছাত্রছাত্রীদের যোগ দেওয়ার আবেদন জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ম্যাডাম ছাত্রছাত্রীদের সামনে আমাকে অপমান করেন। অকারণ হেনস্থার কারণ জানতে চেয়েই পরে ঘেরাও-আন্দোলন করেছিলাম।” তাপসের আরও দাবি, “ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত ক্লাস নেন না বলে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। তাই পাল্টা দুর্ব্যবহার করেছেন ওঁরা।” কলেজের অধ্যক্ষ দীপক তামিলী বলেন, “শুক্রবার উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসব। তারপরেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও শ্রাবস্তী রায়-সহ অন্য কলেজ শিক্ষকেরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ক্লাস বয়কট করার হুমকি দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|