|
|
|
|
জঙ্গলমহলে উন্নয়ন-কাজ দেখতে আসছেন জয়রাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহলে আসছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। আগামী শনিবার তিনি ঝাড়গ্রাম-সহ জঙ্গলমহলের ককেয়কটি এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনিক সূত্রের খবর। তবে শেষ মুহূর্তে সফরসূচির পরিবর্তন হতে পারে বলেও প্রশাসন জানিয়েছে। সূচি চূড়ান্ত করার আগে নিরাপত্তার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ দিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জঙ্গলমহল সফরকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসনে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। বুধবারই মাওবাদী-প্রভাবিত ১১টি ব্লকের বিডিওদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত। ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শুভাঞ্জন দাস, জেলা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা আধিকারিক প্রণব ঘোষের সঙ্গেও বৈঠক করেন জেলাশাসক। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। যেমন, একশো দিনের কাজ, ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান (আইএপি) প্রভৃতি। একশো দিনের কাজ এ বার জেলায় ভাল হয়নি। চলতি আর্থিক বছরে এই প্রকল্পে জেলা প্রশাসন ১২৭ কোটি টাকা পেয়েছে। অথচ, এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ৮৮ কোটি! বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে জেলা প্রশাসনও। তুলনায় আইএপি-র কাজ ভাল হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। আইএপি প্রকল্পে গত আর্থিক বছরে জেলার জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। বেশির ভাগ টাকাই খরচ হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে ফের ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
গত ১৫ অক্টোবরে জঙ্গলমহলে এসে একগুচ্ছ উন্নয়ন-প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে মাওবাদীদের প্রতিও কড়া বার্তা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন-ভাবনা রূপায়ণে ‘বিশেষ’ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্রীয় সরকারও। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর নির্দেশে মেদিনীপুরে এসেছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব আর ভিনিল কৃষ্ণ। এক সময় ওড়িশার মাওবাদী প্রভাবিত জেলা মালকানগিরির জেলাশাসক ছিলেন ভিনিল। ফলে, আদিবাসী এলাকায় কাজ করার তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মাওবাদীদের হাতে অপহৃতও হয়েছিলেন এই তরুণ আইএএস। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পরই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সচিব হিসেবে তাঁর কাজ শুরু। জেলার জঙ্গলমহলে এসে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি প্রশাসনিকস্তরে বৈঠকও করেন ভিনিল। দিল্লি ফিরে গিয়ে বিভাগীয় মন্ত্রীকে রিপোর্ট দেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই রিপোর্ট পাওয়ার পর মন্ত্রী নিজে জঙ্গলমহলে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
তাঁর সঙ্গী হবেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী-সহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীও। |
|
|
|
|
|