|
|
|
|
এলাকার ‘দখল’ নিয়ে তাণ্ডব দাসপুরের গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাসপুর |
‘সিপিএম প্রভাবিত’ গ্রামের ‘নিয়ন্ত্রণ’ পেতে তৃণমূলের লোকজন তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি ভাঙচুর, মারধর, লুঠপাট-বোমাবাজির জেরে মঙ্গলবার বিকেল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাছরাকুণ্ডু গ্রাম। মারধরে জখম হয়েছেন ১০ মহিলা-সহ ৩৫ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের লোকাল কমিটির সদস্য তথা স্থানীয় নাড়াজোল পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান ধীরেন পাত্র। ধীরেনবাবু-সহ গুরুতর আহত ১২ জনকে ঘাটাল, দাসপুর ও নাড়াজোল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অনেকে আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছেন।
|
|
দাসপুরের বাছরাকুণ্ডু গ্রামে ভাঙচুরের পর। নিজস্ব চিত্র |
অভিযোগ, সন্ধের পর বাইরে থেকে তৃণমূলের ‘লেঠেল বাহিনী’ গ্রামে ঢুকে শতাধিক সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সিপিএমের দলীয় কার্যালয়। গভীর রাত পর্যন্ত গোলমাল চলে। প্রথমে দাসপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। রাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবস্থা সামাল দেয়। ২৪ জন তৃণমূল সমর্থক ও ৪ সিপিএম সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ঘাটাল আদালত ধৃতদের প্রত্যেককেই ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। উত্তেজনা থাকায় গ্রামে পুলিশ
পিকেট বসেছে। র্যাফের টহলও চলছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠির বক্তব্য, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুষ্কৃতীদের ধরতেও অভিযান চলছে। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোরও ব্যবস্থা হচ্ছে।”
সিপিএমের দাসপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল অধিকারীর অভিযোগ, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গ্রামে ঢুকে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আসবাবপত্র লুঠ করেছে। বেধড়ক মারধর করেছে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের। অনেকে ভয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পর্যন্ত যেতে পারেনি।” শঙ্করী পাত্র, অণিমা দোলই, অজিত সিংহের মতো সিপিএম সমর্থকদের অভিযোগ, “রাত পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়ে সিপিএম করা যাবে না বলে শাসিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের লোকজন।” দাসপুরের তৃণমূল বিধায়ক অজিত ভুঁইয়া ঘটনা প্রসঙ্গে বা সিপিএমের অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতেই চাননি। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের বক্তব্য, “গোলমালের কথা শুনেছি। আমাদের ৫ কর্মী জখম হয়েছেন। কয়েক জন সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুরও চালিয়েছে সিপিএমের লোকজন।” |
|
|
|
|
|