|
|
|
|
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে বাজেয়াপ্ত হল অ্যাম্বুল্যান্স |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
নন্দীগ্রামের ভূমি-উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নিখোঁজ সমর্থকদের ব্যাপারে আজ, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা সিআইডি-র। ঠিক তার আগে, বুধবার তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (সিএমওএইচ) দফতর-চত্বর থেকে নিখোঁজ-কাণ্ডের সূত্রে একটি অ্যাম্বুল্যান্স বাজেয়াপ্ত করল তারা।
২০০৭-এর ১০ নভেম্বর তেখালির কাছে ভূমি-কমিটির মিছিলে সিপিএমের ‘হামলা’য় বেশ কয়েকজন আহত ও নিহত হন। ওই দিন নিখোঁজ হওয়া ৯ জনের ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে সিআইডি। সিআইডি সূত্রের দাবি, যাঁদের সন্ধান মিলছে না, তাঁদের কেউ কেউ সে দিনের হামলায় নিহত হন। হতাহতদের ভ্যান-রিকশায় প্রথমে খেজুরির শেরখাঁচকের আমড়াতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। |
|
তমলুকে আটক খেজুরির অ্যাম্বুল্যান্স। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস |
পরে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে নিহত কয়েক জনের দেহ খেজুরির রসুলপুর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে ভুটভুটিতে দেহগুলি বঙ্গোপসাগরে নিয়ে গিয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার বাজেয়াপ্ত অ্যাম্বুল্যান্সটিই (ডব্লিউবি-২৯/৬১৯০) দেহ-বহনে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে সিআইডি সূত্রের দাবি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ‘পাব্লিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ মডেলে জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য-মিশন প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি ২০০৬-০৭ আর্থিক বছরে খেজুরি-১ ব্লকের একটি ক্লাবকে দেওয়া হয়েছিল। ওই ক্লাবের প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন সিপিএম নেতা তথা খেজুরি-১ পঞ্চায়েত সমিতির তদানীন্তন সভাপতি হিমাংশু দাস। নন্দীগ্রাম-পর্বে যাঁর বিরুদ্ধে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ বার বারই তুলেছিল ভূমি-কমিটি। পূর্ব মেদিনীপুরের সিএমওএইচ সুকুমার দাসের বক্তব্য, “খেজুরির ওই ক্লাবের সম্পাদক হিসাবে হিমাংশুবাবু সম্প্রতি আমাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁরা আর অ্যাম্বুল্যান্সটি চালাতে পারবেন না। সেটি যেন ফেরত নেওয়া হয়। সেই মতো গত ৪ নভেম্বর অ্যাম্বুলেন্সটি ফেরত আসে।”
সিআইডি সূত্রের বক্তব্য, এত দিন অ্যাম্বুলেন্সটি কামারদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরেই রাখা হত। সিআইডি-র দল অ্যাম্বুলেন্সের দু’জন চালককেও ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁরাই চার বছর আগের সেই ১০ নভেম্বর অ্যাম্বুলেন্স চালিয়েছিলেন বলে সিআইডি সূত্রের দাবি। কামারদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুই চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন সিআইডি অফিসারেরা। সেই দুই চিকিৎসক সৈয়দ আলমগির কবীর ও সুব্রত হাজরা এ দিন হলদিয়া আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পবিত্র সেনের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।
নিখোঁজ-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই রহস্যভেদ হয়েছে বলে সিআইডি-র দাবি। হাইকোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে তারা। |
|
|
|
|
|