একটা দলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মনোজ তিওয়ারি, ঋদ্ধিমান সাহা, লক্ষ্মীরতন শুক্লর মতো গালভরা নাম। সঙ্গে আবার পাঁচ পয়েন্টের স্বপ্ন।
আর অন্য টিমটায়? নমন ওঝা, মণীশ মিশ্র। নামগুলো কেউ কেউ শুনে থাকতে পারেন, কিন্তু ঠিক কতটা চেনা? দলটার আবার টাটকা একটা দুঃস্বপ্নও আছে। রঞ্জির প্রথম ম্যাচেই ৬৩ অল আউট হলে ‘বদহজম’ কী আর সহজে কাটে?
‘ডেভিড’ বনাম ‘গোলিয়াথ’ মনে হচ্ছে? ভুল নয়, সরকারি ভাবে ম্যাচটা যতই মধ্যপ্রদেশ বনাম বাংলা হোক, দু’টো টিমের কাঠামোর দিকে তাকালে এই তুলনাটা চলেই আসছে।
ম্যাচের আগের দিন বাংলা শিবিরের মেজাজ দেখে যদিও সেটা বোঝার উপায় নেই। সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বুধবার পুরোদমে অনুশীলন করলেন সৌরভ-ঋদ্ধি-মনোজরা। শুধু ব্যাটিং নয়, নেটে মিনিট পঁয়তাল্লিশ হাত ঘোরাতে দেখা গেল সৌরভকে। গুজরাতের বিরুদ্ধে তৃতীয় সিমারের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বাংলা। মধ্যপ্রদেশ ম্যাচেও যাতে এক সমস্যায় না পড়তে হয়, তা নিয়ে সতর্ক বাংলা শিবির। তা হলে কি এই ম্যাচে বল করতে দেখা যাবে সৌরভকে? মনোজ সংক্ষিপ্ত উত্তর দিচ্ছেন,“দেখা যাক।” বাংলা অধিনায়ক দুর্বল প্রতিপক্ষকে মোটেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বরং বলছেন, “জানি আগের ম্যাচে মধ্যপ্রদেশ ৬৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা মোটেও ওদের হালকা ভাবে নিচ্ছি না। মনে রাখতে হবে ওরাও এলিট গ্রুপের টিম।” তাঁর নিজের সামনেও আবার একটা চ্যালেঞ্জ আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আসন্ন এক দিনের সিরিজে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার লড়াই। পারবেন, যেখানে রবীন্দ্র জাডেজা ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছেন? হেসেখেলে ডাবল সেঞ্চুরি করছেন সুরেশ রায়না? সেখানে গুজরাতের বিরুদ্ধে ১৩২ আর কতটা কল্কে পাবে? মনোজ সে সবে ঢুকতে চান না। শুধু বললেন, “আমার কাজ রান করা। সেটা করব। বাকিটা নির্বাচকদের ব্যাপার।”
বাংলা দলে বদল বলতে একটাই। অফস্পিনার সৌরাশিস লাহিড়ির জায়গায় খেলানো হতে পারে বাঁ-হাতি স্পিনার অনির্বাণ গুপ্তকে। বাংলা টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ কেউ মনে করছেন, অভিজ্ঞ সৌরাশিসের কাছ থেকে যে রকম পারফরম্যান্স আশা করা হচ্ছে তিনি সেটা দিতে পারছেন না। গুজরাত ম্যাচে ৩৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে একশোর উপর রান দিয়ে মাত্র একটা উইকেট নিয়েছিলেন। সল্ট লেকের উইকেটে কিছুটা ঘাস আছে। আবার পরের দিকে বল টার্ন করতে পারে। দুই পেসার, দুই স্পিনারের চেনা ছকে যেতে চাইছে বাংলা। রণদেব-দিন্দার সঙ্গে দুই স্পিনার ইরেশ সাক্সেনা এবং সম্ভবত অনির্বাণ।
নবির আর্ম ব্যান্ড দিয়ে দেওয়াটা কি ওই দিনটাকে আরও উজ্জ্বল করে দিয়ে গেল? হয়তো। |