কার্তিকে মাতোয়ারা গঙ্গাপাড়ের শহর বাঁশবেড়িয়া
ন্দননগরের জগদ্বাত্রী পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার কার্তিক পুজোয় মাতোয়ারা গঙ্গাপাড়ের প্রাচীন শহর বাঁশবেড়িয়া ও সাহাগঞ্জ এলাকা। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু পুজো।
হুগলির প্রাচীন জনপদ বাঁশবেড়িয়া। জেলার অন্যান্য জায়গার মত দুর্গা ও কালী পুজো নিয়ে এখানে মাতামাতি তুলনায় অনেক কম। কার্তিক পুজো নিয়ে উন্মাদনা বাঁশবেড়িয়ার ঐতিহ্য। সপ্তগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের এই অঞ্চলে অন্তত ৮০টি বারোয়ারি পুজো হয়। এই পুজোগুলিকে এক সূত্রে বাঁধতে চন্দননগরের আদলেই এখানে কেন্দ্রীয় পুজো কমিটি তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য এখানে কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির সঙ্গে সরাসরি স্থানীয় পুরসভা ও জেলা পুলিশ যুক্ত হয়ে গিয়েছে।
নিজস্ব চিত্র।
বাঁশবেড়িয়া পুরসভা এবং হুগলি জেলা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির আওতায় এবার মোট ৭৩টি পুজো হয়েছে। এই পুজোগুলি মূলত বাঁশবেড়িয়া ও সাহাগঞ্জ অঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। পুজোয় আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য এ বারই প্রথম পুরসভা ও জেলা পুলিশের তরফে একটি গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। এই গাইড ম্যাপের মাধ্যমে এলাকার প্রতিটি পুজোর একটা সামগ্রিক রোড ম্যাপ পাওয়া যাবে। একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মঙ্গলবার বাঁশবেড়িয়ার ঐতিহ্যশালী হংসেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে ওই পুজো গাইডের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর মহকুমাশাসক জলি চৌধুরী, স্থানীয় বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, পুরপ্রধান রথীন্দ্রনাথ মোদক-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পুূজোর দিনগুলিতে কোনও রকম অশান্তি যাতে না হয়, সে জন্য আঁটোসাঁটো পুলিশি ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কারণ পুজোর দিনগুলিতে হাজার হাজার মানুষ এখানে ঠাকুর দেখতে আসেন। এই বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ঠাকুরের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই পুলিশ বাড়তি সতর্ক। পুজোর দিনগুলিতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার মোট ৩৫০ জন পুলিশ কর্মী এখানে মোতায়েন করা হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় আটটি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র থাকছে। থাকছে মেডিক্যাল টিম শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। পুলিশের মোবাইল ভ্যান রাস্তায় থাকছে শহরের নজরদারি চালাবার জন্য। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে বহু মানুষ এ পারে ঠাকুর দেখতে আসেন নৌকো থেকে যাতে কোনও বিপত্তি না হয় তা নিশ্চিত করতে গঙ্গার ঘাটগুলিতে পুলিশ ছাড়াও থাকছেন সিভিল ডিফেন্সের জওয়ানেরা।
বাঁশবেড়িয়ায় ঠাকুর দেখতে গেলে অবশ্যই দর্শনার্থীদের নজকর থাকবে কিশোর সঙ্ঘ, মিতালী সঙ্ঘ, যুব সঙ্ঘ, রেনেসাঁ, অভিযাত্রী সঙ্ঘ ও শিশু সঙ্ঘের পুজোগুলিতে। দুর্গাপুজোর মতোই এ বার থিম পুজোর হাওয়া লেগেছে কার্তিক পুজোয়।
তবে বাঁশবেড়িয়ার কার্তিকের মূল বৈশিষ্ট্য, ঠাকুরের উচ্চতা। ৪০ ফুট উচ্চতার কার্তিকেরও দেখা মিলবে এখানে। মণ্ডপ এবং চন্দননগরের আলো টানে এখানে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। বাঁশবেড়িয়ার পাশাপাশি লাগোয়া শহর চুঁচুড়াতেও রীতিমতো জমজমাট পুজো হয়। সব মিলিয়ে আগামী চার দিন ধরে জমজমাট গোটা এলাকা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.