|
|
|
|
জগদ্দলে স্ত্রী-ছেলেকে মেরেছিলেন পবন, অনুমান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জগদ্দল |
ডাকাতির গল্প বানানো। নিজের স্ত্রী ও ছেলেকে পবনই খুন করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান।
মঙ্গলবার দুপুরে জগদ্দলের কাঁকিনাড়ায় মোতিভবন রোড এলাকায় ঘর থেকে উদ্ধার হয় পবনের স্ত্রী অচর্না গুপ্তর মৃতদেহ। তাঁর পাশেই পড়েছিল তিন বছরের ছেলে হর্ষর অচৈতন্য দেহ। গুরুতর জখম হর্ষ পরে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দিনই পবন-সব তিন আত্মীয়কে পুলিশ আটক করে। পরে অর্চনাদেবীর বাপের বাড়ির করা অভিযোগ এবং তথ্য প্রমাণের উপরে ভিত্তি করে পবনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পবনই পুলিশকে জানিয়েছিলেন, দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে লুঠপাট চালাতে গিয়েছিল। বাধা পেয়ে স্ত্রী ও ছেলেকে তারা খুন করেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস বলেন, “তদন্তে নামার পরে পবনের কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ায় সন্দেহ বাড়ে। সেই সন্দেহ আরও পোক্ত হয় অর্চনাদেবীর বাপের বাড়ির লোকের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে। তার ডাকাতির গল্পও বানানো। কারণ বাড়ির মূল্যবান কোনও জিনিসপত্রই খোওয়া যায়নি।”
তদন্তে নেমে ডাকাতির ঘটনা যে বানানো সে বিষয়ে আরও নিশ্চিত হয় পুলিশ কয়েকটি তথ্যের ভিত্তিতে। যেমন, পবনের কথা অনুযায়ী দুষ্কৃতীরাই যদি লুঠপাট চালাতে এসে খুন করে থাকে, তাহলে ভরদুপুরে ওই ঘিঞ্জি এলাকার আশপাশের বাসিন্দারা তা গুণাক্ষরেও টের পেলেন না? তা ছাড়া প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন দুপুরে তাঁরা পবনকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখেন। তার পরে আর তাকে ঢুকতে দেখেননি। তদন্তে পুলিশ আরও জেনেছে, পবন ও অর্চনাদেবীর নিজেদের সন্তান ছিল না। হর্ষ তাঁদের দত্তক নেওয়া সন্তান। নিজেদের কোনও সন্তান না থাকায় স্বামী-স্ত্রী মধ্যে সম্পর্ক ভাল ছিল না। স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন পবন। পুলিশের অনুমান, সেই সন্দেহের জেরেই অশান্তি হত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। ঘটনার দিনও স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া বেধেছিল। পুলিশের অনুমান, সে সময়ে উত্তেজিত পবন হঠাৎ স্ত্রীকে খুন করে বসেন। ছেলে হর্ষ চিৎকার করলে তাকেও আছড়ে মেরে বেরিয়ে যান। পরে নিজেই পুলিশকে খবর দেন এবং ডাকাতির গল্প ফাঁদেন। |
|
|
|
|
|