কেন্দ্রীয় শর্ত পূরণে ব্যর্থতা উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে
রকারি গড়িমসির কারণে রাজ্যে ‘সম্পদ কর’ ঠিক মতো সংগ্রহ হচ্ছে না। আর তার ফলেই আটকে যেতে বসেছে স্বাস্থ্য, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প। বন্ধ হতে যাচ্ছে কেন্দ্রের আর্থিক অনুদান। সম্পত্তি কর সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নগরোন্নয়ন দফতরের যে শর্তাবলি তা যথাযথ পূরণ না করতে পারলে, জওহারলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশন (জেএনএনআরইউএম) সহ যে যে প্রকল্প রাজ্যে লাগু আছে, তার অধিকাংশই মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মানিক দে বলেন, জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে সম্পত্তি কর, জল কর ইত্যাদি আদায়ের জন্য কেন্দ্র বার বার চাপ দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে আগরতলা পুরসভা-সহ রাজ্যের ১৫টি পুর-এলাকায় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে যেতে পারে।
সম্পত্তি কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৮৫ শতাংশ সাফল্যের কথা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, সম্পত্তি কর সংগ্রহের সাফল্যের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ শতাংশের বদলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য ৫০ শতাংশ করার দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি। এলাকার সমস্ত ‘নথিভুক্ত’ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া, এলাকার রাস্তার উন্নতি-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে যে টাকা প্রতি বছর খরচ হয়, তার বেশ কিছুটা অংশ কর সংগ্রহের মাধ্যমে যাতে উঠে আসে, সে ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের করা প্রয়োজন বলে ‘প্রচ্ছন্ন হুমকি’ রয়েছে কেন্দ্রীয় এই নির্দেশিকায়। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা রতনলাল নাথ বলেন, ‘ভোটের রাজনীতি’ মাথায় রেখেই পুর-এলাকার সীমা ক্রমশ বাড়ানো হয়েছে। সম্পত্তি কর আদায় এবং করের পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ‘অনিয়ম’ তো রয়েইছে। নিজেদের ‘গাফিলতি ও ব্যর্থতা’ আড়াল করার জন্যই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শর্তাবলির নিন্দা করছে রাজ্য সরকার। অথচ তারাই তো ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে কেন্দ্রীয় অনুদানে রাজ্যের বহু প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে, আগরতলা পুরসভার চেয়্যারপার্সন প্রফুল্লজিৎ সিনহা বলেন, আগরতলা পুর এলাকায় কাঁচা, পাকা মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৪ হাজার বাড়ির মধ্যে ৯০ হাজার বাড়ির ‘সরকারি হোল্ডিং’ রয়েছে। এই ৯০ হাজারের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৫৫-৬০ শতাংশ বাড়ির কর আদায় সম্ভব হয়েছে। বাকিদের থেকে কর আদায়ের জন্য পুর-প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকী ২০ শতাংশ রিবেট দেওয়া হচ্ছে ‘অনাদায়কৃত’ কর মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। অনেকেই বাড়িঘরের ‘এক্সটেনশন’ করেছেন, কিন্তু পুরকর দেওয়ার সময় ‘বাস্তবসম্মত তথ্য’ না দেওয়ায় পুরসভা সম্পত্তি কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জেএনএনইউআরএম ছাড়াও ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনও তাদের প্রকল্পের ক্ষেত্রে একই শর্ত আরোপ করেছে। যদিও প্রফুল্লজিৎবাবু জানান, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই ‘হোল্ডিং’-প্রাপ্ত বাড়ির ৮৫ ভাগ থেকে সম্পত্তি কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। আগরতলা পুরএলাকায় সম্পত্তি কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। সরকারি খাস জমিতে রয়েছে বহু বস্তি। যাদের কোনও সরকারি ‘হোল্ডিং’ এখনও দেওয়া হয়নি। এখান থেকে ‘কর’ আদায় সেই অর্থে সম্ভব নয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.