উত্তরপ্রদেশের ভোট
আসন জেতাতে চাপ কংগ্রেসের সাংসদদেরও
হিন্দি বলয়ের সব থেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে দলের সাংসদদেরও এ বার চাপে রাখল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। ফরমান জারি হয়েছে, প্রতি সাংসদকে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তত দু’টি বিধানসভা আসনে কংগ্রেসকে জিতিয়ে আনতেই হবে। এলাকায় সেটুকু রাজনৈতিক প্রভাব সাংসদের না থাকলে ২০১৪-র লোকসভা ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের সময়ে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রের খবর, দশ জনপথ ও রাহুলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ সম্প্রতি দলের সাংসদদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রত্যেককে তাঁর নিজের কেন্দ্রের অন্তত দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে দলকে জিতিয়ে আনতেই হবে। কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আড়াই বছর অতিবাহিত। একশ দিনের কাজ-সহ অনেক সামাজিক প্রকল্প কেন্দ্র চালাচ্ছে। সেই সব প্রকল্প নিয়ে প্রচার করে স্থানীয় মানুষের আস্থা অর্জনের কাজে কম সময় পাননি সাংসদরা। সুতরাং তাঁদেরও এ বার ‘কাজ’ দেখাতে হবে। সব কিছু হাইকমান্ডের ওপর ছেড়ে দিয়ে হাত তুলে দিলে চলবে না।
উত্তরপ্রদেশে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের ২২ জন্য সাংসদ রয়েছে। এর মধ্যে সনিয়া ও রাহুল গাঁধীও রয়েছেন। সুতরাং হাইকম্যান্ডের সূত্র তাঁদের ওপরেও খাটে। তবে রায়বরেলী ও অমেঠি লোকসভা কেন্দ্রে যে পাঁচটি করে বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে গত বিধানসভা ভোটেও দুটি করে আসন জিতেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার কথায়, সেই দুই বিধানসভা কেন্দ্র ধরে রাখার চাপ সনিয়া-রাহুলের ওপর তো এমনিতেই রয়েছে। কিন্তু অমেঠি ও রায়বরেলী লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় এ বার আরও বিধানসভা আসন জিতিয়ে আনতে রাহুল মরিয়া।
দশ জনপথ ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, উত্তরপ্রদেশে ভোটে এ বার ত্রিশঙ্কু ফল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে ৭০-৮০টি আসন জিততে পারলেই নিয়ন্ত্রক শক্তি হয়ে উঠতে পারে কংগ্রেস। গত বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে মাত্র ২২টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। তার আগে ২০০২ সালের বিধানসভা ভোটে জিতেছিল ২৫টি আসনে। তবে এর পর গত লোকসভা ভোটে কংগ্রেস যে ভাবে ২১টি আসন দখল করে, তার পর থেকেই রাহুল তথা হাইকম্যান্ডের প্রত্যাশা বেড়েছে। পরে উপনির্বাচনে আরও একটি আসন আসায় সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২২শে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন ২২ জন কংগ্রেস সাংসদ যদি ৪২ থেকে ৪৫টি আসন জিতিয়ে আনতে পারেন এবং প্রমোদ তিওয়ারি-রীতা বহুগুণা জোশীর মতো রাজ্য নেতারা নিজেদের প্রভাবে আরও কুড়িটি আসনে জয় নিশ্চিত করতে পারেন, তা হলে এ যাত্রায় কংগ্রেসের ফল মন্দ হবে না। এর পর পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে অজিত সিংহের সঙ্গে জোট হলে আরও ২০টি আসন আসতে পারে। সব মিলিয়ে ৭০-৮০ টি আসন জেতার লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব।
হাইকম্যান্ডের নির্দেশের পর কংগ্রেস সাংসদরা এখন নিজের নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পড়ে রয়েছেন।
এমনকী জিতিন প্রসাদ, আর পি এন সিংহ, শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়ালের মতো মন্ত্রীরাও অধিকাংশ সময় নিজেদের কেন্দ্রে জনসংযোগের জন্য সময় দিচ্ছেন। তবে কংগ্রেসের কিছু নেতা গোটা বিষয়ের মধ্যে দিগ্বিজয়ের অভিসন্ধিরও গন্ধ পাচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশের এক সাংসদের কথায়, রাজ্যে কংগ্রেসের ফল খারাপ হলে দিগ্বিজয়ের কাঁধেও দায় চাপবে। কারণ, তিনি রাজ্যের দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক। তাই আগেভাগেই বন্দুক অন্যের কাঁধে চাপিয়ে রাখলেন দিগ্বিজয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.