‘বিতর্কিত’ আফস্পা রেখে দেওয়ার পক্ষে লালকৃষ্ণ আডবাণী। কাশ্মীরে এসে একই সঙ্গে জানালেন, পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়মিত ভাবে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরির যে চেষ্টা মনমোহন সরকার করছে, তা-ও মানতে পারছেন না তিনি। আডবাণীর বক্তব্য, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাক সরকার কার্যত কোনও পদক্ষেপই করছে না। এই পরিস্থিতিতে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে পাকিস্তান নিজের অবস্থান স্পষ্ট না করা পর্যন্ত কেন্দ্রের উচিত তাদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনায় না যাওয়া।
জম্মুতে আজ তাঁর জনচেতনা যাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় নিরাপত্তা নিয়েই মূলত বক্তব্য পেশ করেন আডবাণী। আফস্পা প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, সেনাবাহিনীর হাত থেকে এই বিশেষ ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার অর্থ, তাদের দুর্বল করে দেওয়া। এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে গত দু’দশকে সেনাবাহিনীর ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।আডবাণীর কথায়, “জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে সেনাবাহিনীর অবদান আমাদের ভুললে চলবে না। তাই এমন পদক্ষেপ করা উচিত নয় যা সেনাকে দুর্বল করবে। তাই এখান থেকে আফস্পা তুলে নেওয়ার বিরোধিতা করছে বিজেপি।” এ দিন সভায় সন্ত্রাস প্রসঙ্গে ওমর আবদুল্লা প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন আডবাণী। তিনি অভিযোগ করেন, উপত্যকার সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণে এবং তাঁদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে ওমর আবদুল্লা ব্যর্থ। এর জন্য দায়ী তাঁর সরকারের ভ্রান্ত নীতি। সভায় একই অভিযোগ তোলেন অরুণ জেটলিও।
প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জেরে কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর হাতে বিশেষ আইনি ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছিল ৯০-এর দশকের গোড়ায়। জম্মুতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বেড়ে যাওয়ায় সেখানেও ২০০১ সালে আফস্পা কার্যকর হয়। সেই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তখন থেকেই দুই উপত্যকায় এই বিশেষ আইন চলছে। |