প্রস্তাব ছিল ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানার। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ক্যাপিটেশন ফি’ বা ‘ডোনেশন’ নেওয়া রুখতে আরও কড়া হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় এ ভাবে টাকা নিলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র।
সংসদের শিক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সুপারিশ মেনে উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনৈতিক কাজকর্ম প্রতিরোধের বিলে আজ মোট ৪১টি সংশোধন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ‘ক্যাপিটেশন ফি’-র ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক বাড়ানো তারই অন্যতম।
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, বিলের সংশোধিত খসড়ায় বলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ‘ক্যপিটেশন ফি’ বা ‘ডোনেশন’ নিলে কোটি টাকা জরিমানার পাশাপাশি জেলও হতে পারে। এই জাতীয় আর্থিক লেনদেন রুখতে প্রতিষ্ঠানের ‘প্রসপেক্টাসে’ ঘোষণা করতে হবে, ভর্তির সময়ে কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, শিক্ষক বা উপযুক্ত গবেষণাগার না থাকা সত্ত্বেও কলেজগুলি ছাত্র টানতে নানা রকম রং-চড়ানো তথ্য ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। বিলে ওই ধরনের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেওয়া থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও শর্ত রয়েছে। অযোগ্যরা যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষকতা করতে না পারেন সে জন্যও বিলে একটি নতুন ধারা যোগ করা হয়েছে। সমস্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এই আইনের আওতায় পড়লেও কৃষি সংক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা কেন্দ্রগুলির জন্য আলাদা একটি উপ-ধারা থাকছে বিলে।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি সংসদে পাশ করাতে চায় সরকার। এটি লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল গত বছরের মার্চ মাসে। সংসদের স্থায়ী কমিটি এ বছরের মে মাসে তাদের সুপারিশ জমা দেয় মানবসম্পদ মন্ত্রকে। প্রয়োজনীয় সংশোধন অন্তর্ভুক্ত করার পরে আজ বিলটিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিয়ে আসা হয়। মন্ত্রিসভায় আজ স্থায়ী কমিটির ৭টি সুপারিশ খারিজ করা হয়েছে। বিলটির নাম আগে ছিল ‘ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০’। এর নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইন-২০১১’। |