|
|
|
|
আইনজীবী সঙ্ঘ |
সিপিএমের গণ সংগঠনেও নেতৃত্বে নতুন মুখ |
অরুণোদয় ভট্টাচার্য |
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশের সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক আইনজীবী সঙ্ঘ’-এর কমিটির ৬৮ জন সদস্যের মধ্যে ৪৬টি নতুন মুখ জায়গা করে নিল। গত শনিবার রামমোহন মঞ্চে ওই বামপন্থী সংগঠনের হাইকোর্ট কমিটির সম্মেলন হয়েছে। সেখানেই ওই রদবদলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার ফলে ওই সংগঠনের হাইকোর্ট কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন আইনমন্ত্রী নিশীথরঞ্জন অধিকারী, মানিক দাস, শোভনলাল হাজরা, ভারতী মুৎসুদ্দি, চিত্ত চক্রবর্তী ও অসীম চট্টোপাধ্যায়ের মতো আইনজীবীরা। যাঁরা বামফ্রন্ট সরকারের আমলে যথেষ্ট ‘প্রতাপশালী’ ছিলেন। সংগঠনের রাজ্য কমিটিতেও পরিবর্তনের ওই হাওয়া বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘গণতান্ত্রিক আইনজীবী সঙ্ঘ’ সিপিএম প্রভাবিত। ওই সংগঠনেরই একাংশের ধারণা, তাদের হাইকোর্ট কমিটিতে রদবদল সিপিএমে সম্প্রতি নতুন নেতৃত্ব তুলে আনার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তারই সম্প্রসারণ।
শনিবার ‘গণতান্ত্রিক আইনজীবী সঙ্ঘ’-এর হাইকোর্ট কমিটির সম্মেলনে তরুণ আইনজীবীরা খোলামেলা ভাবেই নিজেদের সংগঠনের সমালোচনা করেন। তাঁরা বলেন, বামফ্রন্ট শাসনকালে রাজ্য সরকারের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে কিছু আইনজীবী নেতা নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। সম্মেলনের রিপোর্টে বলা হয়, অনুকূল পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও সংগঠন হাইকোর্টে আইনজীবী এবং আবেদনকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনও আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। সাধারণ আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে জনহিতকর কর্মসূচিও গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সম্মেলনে আরও আলোচনা হয়বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলে অনেক সময়েই সংগঠনকে দূরে সরিয়ে রেখে এবং যোগ্যতাকে বিবেচনায় না এনে ব্যক্তিগত পছন্দের নিরিখে সরকারি মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবীদের বাছা হয়েছে। ফলে এক দিকে যোগ্য আইনজীবী না দেওয়ায় সরকার মামলা হেরেছে এবং অপর দিকে সংগঠন দুর্বল হয়েছে। সম্মেলনের রিপোর্টের উপর আলোচনা করতে গিয়ে বেশ কয়েক জন প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, সরকারি মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে হাইকোর্টে দায়িত্বপ্রাপ্তেরা অনেক সময়েই সরকারের কথা না ভেবে ব্যক্তিস্বার্থের কথা ভেবেছেন। এক জন
প্রতিনিধি বলেন, নরনারায়ণ গুপ্ত যে সময় অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন, তখন সঞ্জীব তীর্থঙ্করের মতো কঠিন মামলাতেও সরকার জিতেছিল। কিন্তু নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে সেই আস্থা দেখা যায়নি। ওই সংগঠনের আক্ষেপনিজেদের দল সিপিএম সরকারে থাকার সময়েও বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পদে বামপন্থীরা মাত্র ৯২টি ভোট পেয়েছেন। যদিও হাইকোর্টে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা প্রায় হাজার। |
|
|
|
|
|