|
|
|
|
রাজ্যে গবেষণা কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব সান ফার্মার |
দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গে গবেষণা কেন্দ্র গড়তে চায় দেশের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ সংস্থা সান ফার্মাসিউটিক্যালস (সান ফার্মা)। সম্প্রতি সেই প্রস্তাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন সংস্থার সিএমডি দিলীপ সাংভি। সরকারি সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে শিল্প দফতরে পাঠিয়েছে। বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এ নিয়ে আলোচনার জন্য শীঘ্রই সান ফার্মার কর্তাদের বৈঠকে ডাকা হবে বলে ওই দফতর সূত্রে দাবি।
বস্তুত মেধাসম্পদকে পুঁজি করে গবেষণা ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গকে নতুন ভাবে গড়তে উদ্যোগী রাজ্য। এর জন্য শিল্প-গবেষণায় লগ্নি পেতে উৎসাহী তারা। সান ফার্মা-ও সেই মেধাসম্পদের কথা ভেবেই গবেষণা কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব দিয়ে রাজ্যের কাছে জমি চেয়েছে বলে জানান সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট উদয় বলদোতা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, বাংলাদেশ-সহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার ধরার ক্ষেত্রে কলকাতাই ‘প্রবেশপথ’, সে কথা মাথায় রেখেও এ রাজ্যে আপাতত গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমেই পা রাখতে চাইছে সংস্থা।
এই মুহূর্তে ৬,০০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করা এই ওষুধ সংস্থাটির পথ চলা শুরু হয়েছিল এই রাজ্য থেকেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক দিলীপ সাংভি ১৯৮২ সালে এই শহরেই মাত্র পাঁচটি ওষুধ নিয়ে শুরু করেন ব্যবসা। তখন কর্মী সংখ্যা ছিল ১০। পরে কার্যালয় সরে যায় মুম্বইয়ে। এখন সান ফার্মা বছরে ভারতেই অন্তত ৩০টি নতুন ওষুধ তৈরি করে। কর্মী সংখ্যাও পৌঁছেছে প্রায় ১০ হাজারে। ব্যবসা ছড়িয়েছে আমেরিকা-সহ ৪০টি দেশে। এবং মোট ব্যবসার ৫৮ শতাংশই আসে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে।
প্রসঙ্গত, লগ্নি করতে সান ফার্মার এই রাজ্যকে বেছে নেওয়ার পেছনে কলকাতার সঙ্গে সাংভি-র যোগসূত্রের কিছুটা ভূমিকা থাকলেও, মেধাসম্পদই মূল আকর্ষণ বলে দাবি সংস্থার।
তবে গবেষণা কেন্দ্রের ধরন, লগ্নির অঙ্ক বা জমির পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনার সময় এখনও হয়নি বলে জানান বলদোতা। তাঁর বক্তব্য, গবেষণার কাজ নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। ফলে প্রথমেই বড় লগ্নি হবে, এমন নয়। বরং ছোট আকারে শুরু করে, পরে ধাপে ধাপে কেন্দ্রকে বড় করাই লক্ষ্য। আগামী দিনে গবেষণাতেই যে সংস্থা আরও জোর দিতে চায় তা-ও স্পষ্ট হয়েছে বলদোতার কথায়। তিনি জানান, গবেষণায় গত ২০ বছরে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা খরচ করেছে সংস্থা। গত অর্থবর্ষে প্রায় ৩০০ কোটি। আর ২০১১-’১২ সালে ৪৫০ কোটি লগ্নির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বরোদায় দু’টি এবং মুম্বইতে একটি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে সান ফার্মার। |
|
|
|
|
|