টুকরো খবর
গৃহহীনদের নৈশ আশ্রয়
নিরাশ্রয় মানুষদের জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কলকাতায় তিনটি এবং হাওড়ায় দু’টি নৈশ আশ্রয় কেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। প্রতিটি কেন্দ্রে মহিলা, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা মিলিয়ে অন্তত ৫০ জনের থাকা-খাওয়া ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। কেন্দ্রগুলির জন্য জায়গা জোগাড় থেকে শুরু করে সেগুলি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে সব খরচ জোগাবে রাজ্য। সরকারি সূত্রে খবর, কলকাতা ও হাওড়ায় যত মানুষ রাস্তায় রাত কাটান, তার তুলনায় আশ্রয় কেন্দ্র নিতান্তই কম। তাই ওই পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে কাজ শুরু করতে চায় রাজ্য। পরে সেই সংখ্যা বাড়বে ও বিভিন্ন জেলা শহরেও তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, শহরাঞ্চলের নিরাশ্রয় মানুষদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র চালু করতে সব রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে সেই নির্দেশ কার্যকর করার ব্যাপারে মহাকরণে সোমবার মুখ্যসচিব সমর ঘোষের সভাপতিত্বে বৈঠক বসে। তাতে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ, পুর, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন দফতরের কর্তারা ছিলেন। ছিলেন কলকাতা ও হাওড়ার পুর আধিকারিকেরাও। সরকারি সূত্রে খবর, আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে মঙ্গলবারের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছিল।

প্রাথমিক স্কুলে ২৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
রাজ্যের নতুন সরকার ২৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, এর মধ্যে সাড়ে চার হাজার নতুন পদ। বাকি নিয়োগ হবে শূন্য পদে। ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের যে-সব পদ খালি হবে, তার ভিত্তিতেই এই নিয়োগ করা হবে। পদ শূন্য থাকায় যাতে শিশুদের পড়াশোনা ব্যাহত না-হয়, সে-দিকে নজর রেখেই ডিসেম্বরে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে জঙ্গলমহলের দুই জেলা বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাড়তি পদ মঞ্জুর করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। প্রাথমিক স্তরে কর্মরত শিক্ষিকাদের বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে নিয়োগের সিদ্ধান্তও নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, “অন্তত দু’বছর শিক্ষকতা করার পরে বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে বদলির আবেদন জানাতে পারবেন শিক্ষিকারা। আন্তঃজেলা বদলির সুযোগও দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। তবে সে-ক্ষেত্রে শিক্ষিকার বর্তমান স্কুল এবং যেখানে তিনি বদলি হতে চান, সেখানকার স্কুলগুলিতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত বিচার করা হবে।”

তৃণমূলের হামলা নিয়ে আলোচনা চায় কংগ্রেস
দলীয় কর্মীদের উপরে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ নিয়ে তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কথা বলবে বলে জানিয়েছেন সাংসদ তথা রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর। আজ রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি এই কথা জানান। যুব কংগ্রেসের ১৯ জনের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে আজ রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন মৌসম। পরে তিনি জানান, ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামে কী ভাবে যুব কংগ্রেসের প্রশিক্ষণ শিবিরে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে তা রাহুল গাঁধীকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ব্যারাকপুরে কংগ্রেস কার্যালয় জ্বালানো, জয়নগর ও খণ্ডঘোষে কংগ্রেস কর্মীদের উপরে হামলার কথাও বলা হয়েছে। ‘উদ্বিগ্ন’ রাহুল বলেছেন, হাইকম্যান্ডের সঙ্গে তিনি এ নিয়ে কথা বলবেন। তার পর কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কথা বলবে তৃণমূলের সঙ্গে। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে দলীয় কর্মীদের উপরে তৃণমূলের হামলার ঘটনা সম্পর্কে রাহুল অবগত। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের যুব নেতা জিতেন্দ্র সিংহকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়েছিলেন তিনি। জিতেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে রাহুলকে রিপোর্টও দিয়েছেন।

বকেয়া চেয়ে দরবার

রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে এক বছরে প্রায় ৬৪ কোটি টাকা পাওনা বকেয়া রয়েছে প্রায় ৫০০ ঠিকাদারের। রাজ্য যাতে দ্রুত ওই টাকা মিটিয়ে দেয়, সেই জন্য ঠিকাদারদের এক দল প্রতিনিধি মঙ্গলবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সচিব সৌরভ দাসের সঙ্গে দেখা করেন। ওই ঠিকাদারদের সমিতির সম্পাদক সুব্রত দাস জানান, ভূগর্ভস্থ জল সরবরাহ এবং বিভিন্ন পাম্পহাউস রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে হয় তাঁদের।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.