বালিতে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সম্মেলনের ফাঁকে আমেরিকা এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার ঠিক আগে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে একটি বড় জয় পেল সাউথ ব্লক। আজ ভারতকে ইউরেনিয়াম রফতানি করার উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সপক্ষে জোরদার সওয়াল করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া জিলার্ড।
পরমাণু ক্ষেত্রে জ্বালানি আমদানির বিষয়টি ভারতের কাছে যথেষ্ট স্পর্শকাতর। পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তিতে সই না করার ফলে বিষয়টি নিয়ে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে নয়াদিল্লিকে। এ ব্যাপারে চিনের প্রত্যক্ষ বিরোধিতার সুরও লক্ষ করেছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা। অস্ট্রেলিয়াও ভারতকে ইউরেনিয়াম সরবরাহের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন দৌত্য চালিয়েছে ভারত। আমেরিকার সঙ্গে অসামরিক পরমাণু চুক্তির পর বিষয়টিতে আরও বেশি জোর দেয় মনমোহন সরকার। এতদিনে তার ফল ফলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। জিলার্ড বলেন, “ভারত বিকাশের পথে এগোচ্ছে। কমছে দারিদ্রও। এখন তাদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন। তা ছাড়া, ভারতকে ইউরেনিয়াম রফতানি করলে আমাদের দেশেও আরও কাজের সুযোগ তৈরি হবে।” এই পদক্ষেপের ফলে দু’দেশের সম্পর্কও উন্নত হবে বলে আশা জিলার্ডের। আগামী মাসে লেবার দলের জাতীয় সম্মেলনে তিনি দলের সদস্যদের এ বিষয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন। জিলার্ডের বক্তব্যকে আজ স্বাগত জানান বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ। তিনি বলেন, “ভারতের বিদ্যুতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইউরেনিয়াম রফতানির ক্ষেত্রে লেবার দলের নীতি পরিবর্তনের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছি। এর ফলে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।” |