গ্রামে আলো জ্বলবে, অন্ধকার দূর হবে এ নিয়ে খুশির অন্ত নেই, কচি-কাঁচা ও ছাত্রছাত্রীরাও খুশিতে ডগমগ। তারা বিদ্যুতের আলোয় বসে পড়াশোনা করবে, টিভি-ও দেখতে পারবে, একরাশ স্বপ্নের চোখে উন্নয়নের আবহবার্তা বলে যায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সেই স্বপ্নের অকাল মৃত্যুতে স্তব্ধ উন্নয়নের বিন্যস্ত মুকুল। ধুপগুড়ি ব্লক গধেয়ার কুঠি অঞ্চলাধীন চরচরাবাড়ি গ্রামের ১৫/৫৩ নং পার্টের বিদ্যুতের খুঁটি গাড়া এবং বাড়ি বাড়ি বিপিএল মিটার লাগানো হলেও বিদ্যুতের সংযোগ হয়নি। না হওয়ার কারণ ১৫/৫৪ নং পার্টের থেকে কভারেজ করে নিয়ে যেতে হবে, কিন্তু সেখানে কতিপয় ব্যক্তির ভুল সিদ্ধান্তে অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫/৫৩ নং পার্টের বিদ্যুৎ। তার সঙ্গে ১৫/৫৪ নং পার্টে প্রতি বাড়িতে বিদ্যুতের আলো জ্বললেও, কতিপয় বিপিএল পরিবার বঞ্চিত। বঞ্চিত বললে ভুল হবে। সব হয়েছে, শুধু মাঝখানে কয়েকটি পরিবারে তার টানা বাকি। উত্তর-দক্ষিণ পূর্ব-পশ্চিম সব দিক থেকে আলো জ্বলছে। কেন তার টানা হয়নি, এর সঠিক উত্তর পাওয়া না গেলেও, পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেল, তারের সংকুলান না থাকায় তা হয়নি। |
১৫/৫৩ নং পার্টে যে সমস্যা, সেটা হল স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সিদ্ধান্তের ভুল। জমির মালিককে না জানিয়ে তাঁর জমির উপর দিয়ে লাইনের খুঁটি গাড়া নিয়ে সমস্যা বাধে। জমির মালিক কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন এবং বিষয়টা জানার পরে প্রথম দিক থেকে বাধা দিয়ে আসেন। তা ছাড়াও বাধা আসে ওখানে বসবাসকারী পরিবারগুলি থেকে। এস টি লাইনটি যে দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার দু’পাশে ঘন বসতবাড়ি। বাঁশগাছ দিয়ে পরিপূর্ণ। সংকুচিত জায়গার ফলে বসবাসকারী ব্যক্তিবর্গ ভয় পেয়ে বাধা দেওয়ায় তার টানা বন্ধ থাকে, এর পর ধুপগুড়ি বিদ্যুৎ দফতর থেকে পদস্থ অফিসারগণ ঘটনাটিকে চাক্ষুষ করেন। ফলে ১৫/৫৩ নং পার্টে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন, আপনারা সরেজমিনে তদন্ত করে সমস্যার সমাধান করুন এবং উন্নয়নের আলো জ্বলতে দিন।
গণেশচন্দ্র রায়।
চরচরাবাড়ি, ধুপগুড়ি, জলপাইগুড়ি
|
কথায় আছে ‘দুধে-মাছে বাঙালি’। বাঙালি আজ দুটোই ভুলতে বসেছে। গ্রামে গোচারণভূমি নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় গরু পোষা ব্যয়সাপেক্ষ বলে দুধ উৎপাদন কম। ‘ছানার জল থেকে ভেজাল দুধ বানানোর রমরমা, তাজ্জব পুলিশ’ (২৭-৬) সংবাদে প্রকাশিত ভয়ংকর ঘটনাটি শুধু স্বাস্থ্যহানিকর ভেজাল দুধ উৎপাদনের প্রসঙ্গই নয়, রাজ্যে দুধের অভাব ও অগ্নিমূল্যের সূচকও বটে। বাংলার মাছের ভাঁড়ারে তো টান পড়েছে অনেক দিন আগেই, তাই অন্য রাজ্য থেকে মাছ আমদানি করতে হয়। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই এই সংকট। মাটি ও জলবায়ুর তারতম্যের দরুন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রকম ছোট প্রজাতির যে-সব মাছ ছিল, তার অধিকাংশ লুপ্ত হয়ে গিয়েছে; বাকিগুলিও বিলুপ্তির পথে। জলাশয়ের গভীরতা বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানিয়ে বলতে চাই যে, কৃষক জমিতে বা আবাদে যে-সব রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করে, তা বৃষ্টির জলে নদী-খাল-বিলে গিয়ে মেশে। ফলে মাছের ডিম ও সদ্যোজাত পোনা বিনষ্ট হয়ে যায়।
এ ছাড়াও অবাধে পোনা ধরা হয়ে থাকে। কোচবিহারের তোর্ষা নদীর বৈরালি মাছ খুব জনপ্রিয় ও সুস্বাদু। পদ্মার ইলিশের সম মানের। দুঃখের বিষয় যে, বিশেষ প্রজাতির এই মাছ বিলুপ্তির পথে। বর্ষায় প্রায়ই বৈরালির পোনা হাটে-বাজারে বিক্রি হতে দেখা যায়, অথচ এই পোনাকে বেড়ে ওঠার সময় ও সুযোগ দিলে মৎস্যজীবীরা লাভবান হতেন, ভোজনরসিকদের রসনা তৃপ্ত হত, আর এই বিরল প্রজাতিটিও রক্ষা পেত।
অতএব, এ বিষয়ে মাননীয় মৎস্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রামনাথ মজুমদার।
পুণ্ডিবাড়ি, কোচবিহার
|